সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভেবেছিলাম হয়তো নির্বাচন কমিশনের শুভ বুদ্ধির উদয় হবে। কিন্তু হয়নি। একটা লিস্ট করেছে নির্বাচন কমিশন কলকাতা পুলিশকে দিয়ে। তাতে তৃণমূল গুনস মানে তৃণমূলের গুণ্ডা বলে উল্লখ করছে ওরা। তাদের গ্রেফতারির তালিকাও করেছে। এসব আমরা সহ্য করব না।
আমাদের রাজ্যের পুলিশের উপর ভরসা নেই ওদের। বাইরে থেকে পুলিশ এনেছে। আর এখানে যারা বিজেপির সমর্থক সেই সব পুলিশকে নেওয়া হচ্ছে। কী ভাবে ওরা? আমরা কিছু জানি না! সব খেয়াল রাখছি : মমতা
কোভিডের জন্য ভয় পেয়ে ভোট দেওয়া বন্ধ করবেন না। তাতে গণতন্ত্রের ক্ষতি হবে। বিজেপির লাভ হবে। বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘‘আমাদের এখন দু’দিকেই জ্বালা। একদিকে কমিশন সব জায়গা দখল করে রেখেছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী কলেজ, স্কুল, স্টেডিয়াম সব দখল করে রেখেছে। তার জন্য আমি সেফ হাউস করতে পারছি না। একদিকে কোভিড, অন্যদিকে আমাদের উপর জুলুম হচ্ছে।’’
মাদ্রাজ হাই কোর্ট বলেছে নির্বাচ কমিশন দায় এড়াতে পারে না। সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য নির্বাচন কমিশন অনেকাংশ দায়ী। আমি এই রায়কে সমর্থন করছি। আমি অনেকবার বলেছি, কমিশনকে বিভিন্ন দফার ভোটকে একসঙ্গে যোগ করে ভোট করান। কমিশন শোনেনি। কী করে শুনবে ওদের তো বিজেপি-র কথা শুনতে হবে। বিজেপি-র মণ্ডল অনুযায়ী ভোট করাতে হবে।
কেন্দ্রীয় বাহিনী এখানে এসে জায়গা দখল করেছে। তিন মাস ধরে ওদের এখানে এনে জায়গা ভরিয়ে রেখেছে বিজেপি। ওদের জন্য এই করোনা পরিস্থিতিতেও সেফ হাউস করতে পারছি না। কমিশনকে আমার অনুরোধ, ‘‘দয়া করে এদের নিয়ে যান।’’
‘‘নন্দীগ্রামে ১০টা বুথে রিগিং হয়েছে। তাই ওই ১০া বুথে ফল খারাপ হতে পারে। কিন্তু বাকি সব বুথে ধপাস ধপাস করে পড়বে ওরা’’ বললেন মমতা।
আমি বলেছিলাম বদলা নয় বদল চাই। কিন্তু এখন বলছি বদল নয়। কারণ আমাদের সরকারই তো থাকবে। তবে বিজেপি-র সঙ্গে কী করতে হবে সেটা আমরা দেখে নেব। আমি বলে রাখছি, মা মাটি মানুষের সরকার সম্পূর্ণ মেজরিটি নিয়ে জিতবে : মমতা
অনুব্রত মণ্ডলের বাড়িতে সিবিআইয়ের কর্তার যাওয়া নিয়ে অভিযোগ জানালেন মমতা। বললেন, ‘‘বিজেপি এত ভীতু যে কেষ্টর বাড়িতে গিয়েছিল। দু’জন সিবিআই কর্তা গিয়ে বলেছে ২৭ এপ্রিল হাজিরা দিতে হবে। যেন ওর কোনও কাজ নেই। রাজ্যে ভোট চলছে। ও জেলা সভাপতি। ওকে এখন হাজিরা দিতে হবে?’’ অনুব্রতকে হাজিরা দিতে বারণ করেছেন বলে জানিয়েছেন মমতা। বললেন, ‘‘ আমি ওকে বলেছি একদম যাবি না। ভোট মিটলে তারপর যাবি।’’