—ফাইল চিত্র।
আমপানের পরে ক্ষতিপূরণের টাকায় দুর্নীতি, স্বজনপোষণের ভুরি ভুরি অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে রাজ্য রাজনীতিতে। বহু বিক্ষোভ, ঘেরাও হয়। অনেক প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত টাকা না পেয়ে তৃণমূলের নেতা ও তাঁদের ঘনিষ্ঠরা ক্ষতিপূরণ পেয়ে গিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছিল। অনেকে টাকা ফেরত দিতে বাধ্যও হন। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকায় ‘জল মেশানোর’ অভিযোগ ওঠায় অনেক জায়গায় দ্বিতীয়বার তালিকা তৈরি করতে হয়েছিল। ভোটের আগে সেই ক্ষত মেরামতের দায় আছে দলের।
শনিবার হিঙ্গলগঞ্জের লেবুখালিতে দলের প্রার্থী দেবেশ মণ্ডলের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মেনে নিলেন, আমপানের পরে ‘দু’চারটে অভিযোগ’ ছিল। তবে দুয়ারে সরকার এসে যাওয়ায় সে সব ‘ঠিক করে নেওয়া হবে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সেই সঙ্গে সুন্দরবনের জন্য ফের উন্নয়নের নানা স্বপ্ন ফেরি করে যান।
মমতা বলেন, ‘‘সুন্দরবনের মানুষের জন্য আমি অনেক কাজ করেছি। সুন্দরবনকে নিয়ে আলাদা একটা জেলা হবে। আরও উন্নয়ন করা হবে।’’
তাঁর কথায়, ‘‘আমরা অনেক নদীবাঁধ দিয়েছি। সেতু করেছি। গরিব মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে আমাদের লোকেরা উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। আমপানে বুক দিয়ে মানুষকে রক্ষা করেছি।’’ এই প্রসঙ্গেই বিজেপিকে টেনে তাঁর কটাক্ষ, ‘‘তখন ওরা কোথায় ছিল।’’
আমপানে ক্ষতিপূরণ-দুর্নীতি নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ‘‘দু’চারটে অভিযোগ থাকতে পারে। দুয়ারে সরকার প্রকল্পে জানানো হলে তা মিটে যাবে।’’ এ দিন সভায় ভিড় হয়েছিল ভালই। মমতা সব মিলিয়ে মিনিট পঁচিশ ছিলেন মঞ্চে। বিজেপি এবং সংযুক্ত মোর্চার কড়া সমালোচনাও করেছেন এ দিন।