ছবি ফেসবুকের ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
‘টুম্পা সোনা’, ‘লুঙ্গি ডান্স’-এর পর এ বার ঊষা উত্থুপের বিখ্যাত গান ‘উরি উরি বাবা’-র প্যারোডি নিয়ে ভোট ময়দানে নামল বামেরা। এ বারের ভোটে নেটমাধ্যমকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল, বিজেপি-কে ব্যঙ্গ করার অভিনব প্রচার কৌশল নিয়েছে তারা। হাতিয়ার হিসেবে কাজে লাগিয়েছে পর পর কয়েকটি প্যারোডিকে। তার তৃতীয়টি হল ‘উরি উরি বাবা’।
এই প্যারোডিতেও একই ভাবে ব্যঙ্গ এবং আক্রমণ করা হয়েছে বিজেপি এবং তৃণমূলকে। এই দুই দলকে মিশিয়ে দিয়ে আবার ‘বিজেমূল’ বলেও কটাক্ষ করা হয়েছে। দু’টো দলের মধ্যে যে কোনও ফারাক নেই সে কথা বোঝাতেই এই শব্দবন্ধ কটাক্ষচ্ছলে ব্যবহার করেছে বামেরা। একই ভাবে এই প্যারোডিতে নারদ ঘুষ কাণ্ডের প্রসঙ্গ আনা হয়েছে। পাশাপাশি কয়লা কাণ্ড, কোকেন কাণ্ড নিয়েও দুই দলকে রীতিমতো ব্যঙ্গবাণে বিদ্ধ করেছে তারা।
নতুন এই প্যারোডিতে উঠে এসেছে দল বদলের প্রসঙ্গও। বহু নেতা সম্প্রতি তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন। কেন এই দল বদল, তা যে ভাল ভাবেই বোঝা যাচ্ছে সেটাও বলা হয়েছে এই প্যারোডিতে।
ব্রিগেড সমাবেশের আগে ‘টুম্পা সোনা’র প্যারোডি এবং কার্টুন বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। সেখানে ব্যঙ্গাত্মক এবং কৌতুকমিশ্রিত ভঙ্গিমায় তৃণমূল এবং বিজেপি-কে আক্রমণ করা হয়েছিল। উঠে এসেছিল নারদা, সারদা থেকে তোলাবাজির মতো অভিযোগের কথা। নোটমাধ্যমে ব্যাপক সাড়া মেলায় ফের ‘লুঙ্গি ডান্স’-এর প্যারোডি ‘হাল ফেরাও, লাল ফেরাও’ নিয়ে ভোট ময়দানে নেমেছিল বামেরা। যা তাদের মূলধারার রাজনৈতিক প্রচারের স্লোগানও বটে।
এ বার ভোটে কংগ্রেস এবং আইএসএফ-এর সঙ্গে জোট করে লড়াইয়ে নেমেছে বামেরা। শুরু থেকেই তাদের নির্বাচনী প্রচারের কৌশলটা একেবারে অন্য রকম। অনেক বেশি মাত্রায় নেটমাধ্যমকে কাজে লাগানোর চেষ্টা হয়েছে। তৃণমূল এবং বিজেপি-র বিরুদ্ধে প্রচারের হাতিয়ার হিসেবে ব্যঙ্গাত্মক বিষয়টিকেই বেছে নিয়েছে তারা। যা সূচনা হয়েছে ‘টুম্পা সোনা’ প্যারোডি এবং কার্টুনের মধ্য দিয়ে।