দক্ষিণে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার বুদ্ধদেব ফাইল চিত্র।
ইচ্ছে থাকলেও শরীর সায় না দেওয়া এ বার আর ভোট দেওয়া হল না প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের। সোমবার রাজ্যের মোট ৩৪টি আসনে ভোটগ্রহণ চলছে। সেই তালিকায় দক্ষিণ কলকাতা এলাকার ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রেও ভোটগ্রহণ হচ্ছে। দক্ষিণে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের ভোটার বুদ্ধদেব। প্রত্যাশা ছিল, বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই সস্ত্রীক ভোট দিতে যাবেন তিনি। কিন্তু সিপিএম নেতা রবীন দেব জানিয়ে দেন, এ বার ভোট দিতে যাবেন না বুদ্ধদেববাবু। প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে ভোট দিতে যাননি। অসুস্থতার কারণেই চলতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারির ব্রিগেড সমাবেশেও আসেননি তিনি। বরং সমাবেশের আগের দিন একটি ছোট্ট লিখিত বার্তা পাঠিয়েছিলেন বামপন্থী জনতার উদ্দেশ্যে। পরে একটি অডিয়ো বার্তাও দেন তিনি।
পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে নির্বাচন কমিশন ও সিপিএমের পক্ষ থেকে বাড়িতে বসেই বুদ্ধদেববাবুকে ভোটদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। সেই প্রস্তাব পাওয়া মাত্রই খারিজ করে দেন তিনি। তখন আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সূত্রে জানা গিয়েছিল, এ বার বুথে গিয়েই ভোট দেবেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। বুদ্ধদেববাবু বালিগঞ্জের পাম এভিনিউয়ের বাসিন্দা হওয়ার সুবাদে তিনি বালিগঞ্জ বিধানসভার ভোটার। বুথ বালিগঞ্জ পাঠভবন স্কুলে। এতদিন তাঁরা সংশ্লিষ্ট বুথে গিয়েই ভোট দিয়ে এসেছেন।
২০১৬ সালে শেষবার ভোট দিয়েছিলেন বুদ্ধদেব। সে বার বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী হিসেবে বালিগঞ্জ কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছিলেন কংগ্রেস নেত্রী কৃষ্ণা দেবনাথ। তারপর থেকেই পরপর দু’টি নির্বাচনে তাঁর নিজের দল সিপিএমের প্রার্থী থাকলেও, তাঁদের আর ভোট দিতে পারেননি তিনি। বুদ্ধদেববাবুর ভোট না দেওয়ার আরও একটি কারণ হল বর্তমানের কোভিড পরিস্থিতি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর শ্বাসকষ্টের সমস্যা থাকায় এমন পরিস্থিতিতে আর ঝুঁকি নিতে চায়নি দল বা পরিবার কেউই। তাই এ বার ভোটদানে বিরত থাকলেন বর্ষীয়ান এই বাম নেতা। বালিগঞ্জ কেন্দ্রে সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন প্রাক্তন স্পিকার হাসিম আব্দুল হালিমের চিকিৎসক পুত্র ফুয়াদ হালিম। তাঁরও মন খারাপ এমন একজন বর্ষীয়ান নেতা ভোট দিতে না পারায়।