বিধানসভার ইতিহাসে এই প্রথম কোনও দম্পতি একসঙ্গে বিধায়ক হিসাবে শপথ নিলেন।
বিধানসভা নির্বাচনে ওঁরা দু’জনেই জিতেছেন। স্বামী বেচারাম মান্না এর আগে বিধায়ক হয়েছেন বটে, কিন্তু তাঁর চিকিৎসক স্ত্রী করবী এ বার প্রথম। বিধানসভার ইতিহাসে এই প্রথম কোনও দম্পতি একসঙ্গে বিধায়ক হিসাবে শপথ নিলেন। বৃহস্পতিবার সে দৃশ্যের সাক্ষী থাকল বাংলার বিধানসভা।
নীল বাড়ির লড়াইয়ে সিঙ্গুরের প্রবীণ বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যকে সরিয়ে হরিপালের বিধায়ক বেচারামকে প্রার্থী করে তৃণমূল। হরিপালে টিকিট পান তাঁর স্ত্রী করবী মান্না। রবিবার স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই জয়ী হন। বৃহস্পতিবার একসঙ্গে তাঁরা বিধায়ক হিসাবে শপথ নিলেন বিধানসভায়।
এর আগে ১৯৭২ সালে কংগ্রেসের টিকিটে কাশীপুর থেকে প্রফুল্লকান্তি ঘোষ ও অশোকনগর থেকে তরুণকান্তি ঘোষ জয়ী হন। দু’জনে সম্পর্কে কাকা-ভাইপো। ২০০৬ সালে তৃণমূলের টিকিটে জিতে শিশির অধিকারী এগরা থেকে এবং দক্ষিণ কাঁথি থেকে বিধায়ক হন শুভেন্দু অধিকারী। বাবা-ছেলে একসঙ্গে শপথ নিয়েছিলেন। এ বারের ভোটেই তৃণমূলের প্রতীকে জিতে বিধায়ক হয়েছেন দুলাল দাস ও তাঁর মেয়ে রত্না চট্টোপাধ্যায়। তবে দম্পতি-বিধায়কের নজির গড়েছেন এ বার বেচারাম-করবী।
স্বামীর ছেড়ে আসা আসনে প্রার্থী করে গুরুদায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল করবীকে। সেই পরীক্ষায় উর্ত্তীণ হলেও, দম্পতি বিধায়কের রেকর্ড গড়ার কথা মাথা ছিল না বেচারাম জায়ার। করবীর কথায়, ‘‘সত্যি বলতে কী, এই বিষয়টা আমার জানা ছিল না। তবে সব কিছুই সম্ভব হয়েছে মমতাদির জন্য। তাই তাঁর আস্থার মর্যাদা দিয়ে আমি ও আমার স্বামী কাজ করব।’’
বেচারাম অবশ্য এই রেকর্ড তৈরির কথা জানেন বলেই জানান। তিনি বলেন, ‘‘আমরা দু’জনেই সর্বক্ষণের রাজনীতিক। তাই পারিবারিক ক্ষেত্রে কোনও অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। পাশাপাশি, যে ভাবে আমি ও করবী দলের কাজ করি তাতে আমাদের বিরুদ্ধে পরিবারতন্ত্র চালানোর অভিযোগ উঠবে না বলেই মনে হয়।’’