নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র।
তাঁর শপথের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রাজ্যে হাজির কেন্দ্রীয় দল। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে প্রকাশ্যেই অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বললেন, ‘‘রাজ্যে যখন অক্সিজেন ছিল না, তখন তো ওঁরা আসেননি। উত্তরপ্রদেশে হাথরসে যখন অত বড় ঘটনা ঘটে গেল, তখনই বা কী করছিলেন এঁরা? আর বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসার খোঁজ নিতে এর মধ্যেই চলে এলেন! এ ব্যাপারে এক রকম বিস্ময় প্রকাশ করেই মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘আগে কখনও এ রকম দেখিনি।’’
মমতার কথায়, ‘‘আসলে বিজেপি এখনও জনতার রায় মেনে নিতে পারছে না। ওঁদেরকে আমার অনুরোধ, আপনারা সংযত হন। মানুষের রায় মেনে নিন।’’
পশ্চিমবঙ্গে ভোট পরবর্তী হিংসার তদন্তে চার সদস্যের একটি দল গড়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। বৃহস্পতিবার সকালে সেই দল রাজ্যে এসে পৌঁছয়। তদন্তের কাজে সন্ধ্যায় ভাটপাড়ায় যান তদন্তকারীরা। বিজেপি-র প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখাও করেন তাঁরা।
তবে তার আগেই নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক নিয়ে মমতা বলেন, ‘‘গতকাল পৌনে এগারোটায় শপথ নিয়েছি। তার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কেন্দ্রের চিঠি। ২৪ ঘণ্টা কাটার আগেই রাজ্যে এল কেন্দ্রীয় দল। এ রকম কখনও দেখিনি।’’
আমার প্রশ্ন, রাজ্যে যখন ভ্যাকসিন ছিল না তখন ওরা আসেননি কেন? যখন অক্সিজেন ছিল না, তখন কী করছিলেন? দিল্লিতে যখন দাঙ্গা হয়েছিল, তখন তো কেন্দ্রীয় দল যায়নি। হাথরসে যখন অতবড় ঘটনা ঘটল, তখন কেন আসেনি? আর পশ্চিমবঙ্গে শপথ নেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চলে এল! ’’
রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা প্রসঙ্গেও বৃহস্পতিবার বিজেপিকে পরোক্ষে দায়ী করেন মমতা। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘যে সব এলাকায় ওরা বেশি সিট পেয়েছে, সেখানেই গুণ্ডামি করছে। গত কয়েক দিনে এই গুণ্ডামি অনেকটাই বেড়েছে। কোচবিহারে হিংসা বেশি হচ্ছে। সব দিকে নজর রেখেছি আমি। এমনকী কিছু কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতা এই সব অশান্তিতে উসকানি দিচ্ছেন বলেও খবর আছে আমার কাছে।’’ মমতা বলেন, ‘‘বিজেপি আসলে মানুষের রায় মেনে নিতে পারছে না। ওঁদের আমার অনুরোধ আপনারা সংযত হোন মানুষ যে রায় দিয়েছে, তা মেনে নিন।’’