প্রতীকী ছবি।
দল বদলে এক রাতেই ‘হাতে গরম’ বিজেপির টিকিট পেয়ে চমক দিলেন বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর প্রাক্তন সদস্য তন্ময় ঘোষ। অন্য দিকে, আড়াই মাস আগে দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দিয়েও, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন পুরপ্রধান শ্যাম মুখোপাধ্যায় কেন টিকিট পেলেন না, তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে ‘মল্ল রাজধানী’তে।
বিষ্ণুপুরের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তন্ময়বাবু। পুরবোর্ডের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে, তাঁকে প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য করা হয়। হঠাৎ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিষ্ণুপুরের পোকাবাঁধ লাগোয়া এলাকায় তন্ময়বাবুকে তৃণমূল প্রার্থী করার দাবিতে পোস্টার পড়ে। তবে তন্ময়বাবু ওই পোস্টার দেওয়ায় তাঁর কোনও ভূমিকা ছিল না বলে দাবি করেছিলেন।
এরই মধ্যে শুক্রবার তৃণমূল প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। পুরসভা সূত্রে খবর, শুক্রবার বিষ্ণুপুর পুরসভার এগজ়িকিউটিভ অফিসারকে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ় পাঠিয়ে প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দেন তন্ময়বাবু। সে রাতেই তিনি বিজেপি যোগ দেন।
শনিবার বিজেপি তাঁর নাম ঘোষণা করতেই তন্ময়বাবু দাবি করেন, ‘‘তৃণমূলে থেকে খুব তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছে। মুক্ত মনে মানুষের জন্য কাজ করতে বিজেপিতে এসেছি।’’
বিষ্ণুপুর পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান দিব্যেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায়ের কটাক্ষ, “কাজের অনেক সুযোগ দেওয়া হলেও তিনি
তা করেননি।’’
কী ভাবে এক রাতের মধ্যে দলের টিকিট তন্ময়বাবু পেলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে বিষ্ণুপুরের বিজেপি কর্মীদের একাংশের মধ্যেও। জেলা নেতৃত্ব কোনও মন্তব্য করতে চায়নি।
বিজেপির রাঢ়বঙ্গ জ়োনের পর্যবেক্ষক রাজু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “যোগ্য লোক হলে অনেক সময়ই দলে যোগ দিয়েই টিকিট পান অনেকে।”
শ্যামবাবু কেন পেলেন না?
এ প্রসঙ্গে রাজুবাবুর জবাব, “অনেক কিছু ভাবনা চিন্তা করেই দলের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রার্থী নির্বাচন করেছে।” আর শ্যামবাবুর প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমি কেন টিকিট পাইনি, কী
করে জানব?”
অন্য দিকে, কয়েকবছর আগে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যাওয়া খাতড়ার বাসিন্দা শ্যামল সরকারকে তালড্যাংরায় প্রার্থী করেছে বিজেপি। যদিও কোনও ‘ভূমিপুত্র’কে তালড্যাংরার প্রার্থী করতে হবে বলে শুক্রবার রাতে পোস্টার পড়েছিল সেখানে।
তবে বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিবেকানন্দ পাত্রের দাবি, “বিভ্রান্তি ছড়াতে তৃণমূল ওই পোস্টার দিয়েছে।” অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরার দাবি, “বিজেপির গোষ্ঠিদ্বন্দ্বের জেরেই ওই পোস্টার।’’