সুজাতা মণ্ডল খাঁ এবং সায়ন্তন বসু। ফাইল চিত্র
এ বার নির্বাচন কমিশনের কোপে বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু ও তৃণমূল নেত্রী সুজাতা মণ্ডল খাঁ। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সন্ধ্যে ৭টা থেকে সোমবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত তাঁরা কোনওরকম প্রচারে অংশ নিতে পারবেন না। এই দুই নেতা-নেত্রীর মন্তব্যকে ঘিরে কয়েকদিন ধরেই বিতর্ক দানা বেঁধেছিল।
শীতলখুচিতে কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের গুলিতে চারজনের মৃত্যুর পর বিতর্কত মন্তব্য করেছিলেন সায়ন্তন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘আমি সায়ন্তন বসু বলছি, বেশি খেলতে যাবেন না। আমরা শীতলখুচিতে খেলা খেলে দিয়েছি। প্রথমে ১৮ বছর বয়সী আনন্দ বর্মণকে খুন করা হয়েছিল। যে প্রথমবার ভোটার, তাঁকে সকালে খুন করা হল। আমাদের শক্তি প্রমুখের ভাই তিনি। আমরা বেশিক্ষণের জন্য কারও হিসেব বাকি রাখি না। সেখানে চারজনকে স্বর্গে পাঠানো হয়ে গিয়েছে। শোলে সিনেমায় একটি সংলাপ আছে, তুম আগর এক মারোগে তো হম চার মারেঙ্গে।’’ এমন বক্তব্য প্রকাশ্যে আসার পরেই গত বৃহস্পতিবার তাঁকে নোটিস ধরিয়ে ২৪ ঘন্টার মধ্যে জবাব তলব করে কমিশন, জবাব দেন সায়ন্তন। সেই জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে তাঁর প্রচারের উপর ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল।
আবার তৃণমূলের আরামবাগের প্রার্থী সুজাতার ভোট দ্বিতীয় পর্বেই হয়ে গিয়েছে। তারপর থেকেই দলীয় প্রচারে গিয়ে অংশ নিচ্ছেন তিনি। প্রচার চলাকালীনই এক বেসরকারি বৈদ্যুতিন মাধ্যমে তফসিলি জাতি ও জনজাতি সম্প্রদায় প্রসঙ্গে বিরূপ মন্তব্য করেন সুজাতা। যা নিয়ে জোর বিতর্ক তৈরি হয়। এমনকি, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও নাম না করে সুজাতার মন্তব্য প্রসঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের তীব্র সমালোচনা করেছিলেন। যার জেরে তৃণমূল ভবনে নিজের বিবৃতি পাঠ করে এই ঘটনার জন্য বিজেপি-কে দায়ী করেছিলেন এই তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি কমিশনে এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ দাবি করায় নড়েচড়ে বসে কমিশন। রবিবার তাঁর প্রচারের উপর ২৪ ঘণ্টার জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করল কমিশন।
প্রসঙ্গত, এর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষের জবাবে সন্তুষ্ট না হয়ে তাঁদের ২৪ ঘণ্টার জন্য প্রচারে নিষিদ্ধ করেছিল নির্বাচন কমিশন। শীতলখুচি নিয়ে বিরূপ মন্তব্যের জন্য রাহুল সিংহকে ৪৮ ঘণ্টা প্রচার করতে দেওয়া হয়নি।