প্রচারের আগে হাতি পূজো নিজস্ব চিত্র।
ধূপগুড়ির তৃণমূল প্রার্থী মিতালি রায়ের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ তুলল সিপিএম। অভিযোগ, বিধানসভা ভোটের প্রার্থী হিসেবে প্রচার শুরুর আগে সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে রাজ্য বন দফতরের একটি কুনকি হাতিকে পুজো করেছেন মিতালি। ঘটনাচক্রে, সেই হাতিটির নামও মিতালি। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হবে বলে জেলা সিপিএমের তরফে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত বুধবার সকালে ধূপগুড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের গধেয়ারকুঠি বিটে উপস্থিত হয়ে কুনকি হাতি মিতালিকে পুজো দেন তৃণমূল প্রার্থী মিতালি। বন দফতরের পোষ্য মিতালিকে পুজো করে, তাকে কলা দিয়ে পেট-পুজো করিয়ে জনসংযোগে বার হন তৃণমূল প্রার্থী। মিতালি বলেন,“হাতির মধ্যেও ভগবান বিরাজ করেন। তাই হাতি পুজো করে প্রচার শুরু করলাম।” হাতি পুজো করে তিনি ধূপগুড়ি এলাকার গধেয়ারকুঠি গ্ৰাম পঞ্চায়েত এবং ঝাড়আলতা-২ গ্ৰামপঞ্চায়েত এলাকার গাড়িয়ালটারি ডাউকিমারি এলাকায় প্রচার সারেন।
আগামী ১৭ এপ্রিল পঞ্চম দফায় ভোট ধূপগুড়িতে। তার আগে তৃণমূল প্রার্থীর এই পদক্ষেপ নিয়ে প্রচার শুরু করেছে বামেরা। সিপিএমের ধূপগুড়ি এরিয়া কমিটির সম্পাদক মুকুলেশ্বর রায় বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘সরকারি অফিসারদের সঙ্গে নিয়ে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে বনবস্তির বাসিন্দাদের মন জয় করতে হাতি পুজো দিচ্ছেন তৃণমূল প্রার্থী। আমরা ছবিতে দেখতে পাচ্ছি, সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে সরকারি হাতিকে পুজো দিয়েছেন তিনি। আমরা এ নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানাচ্ছি।’’
মুকুলেশ্বরের দাবি, ‘‘আদর্শ নির্বাচনী আচরণবিধি কার্যকর হওয়ার পর কোনও সরকারি আধিকারিক প্রার্থীর সঙ্গে থাকতে পারেন না। আমরা আশা করি নির্বাচন কমিশন উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে।’’
যদিও মিতালি বলেন, ‘‘আমি কোনও সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে পুজো দিইনি। আমি ওই এলাকায় প্রচারে গিয়ে জানতে পারি সেখানে মিতালি নামে একটি কুনকি হাতি রয়েছে। আমরা সকলেই হাতিকে ভগবান হিসেবে মানি, তাই শুধুমাত্র পুজো দিয়েছি। এতে কেউ যদি মনে করে অভিযোগ জানাবেন, তা হলে জানাতে পারেন।’’
জলপাইগুড়ি জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র দুলাল দেবনাথ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘‘সিপিএম প্রচারে আসার জন্যই নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে। আমরা প্রচারে গেলে যেমন বিভিন্ন দেবদেবীর মন্দিরে পুজো করি, তেমনই মিতালি হাতিটির পুজো দিয়েছেন।’’