জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। ফাইল চিত্র।
দলের নির্দেশ মত কাজ না করায় দিনহাটার তৃণমূলের ৬ জন নেতাকে শোকজ করলেন কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সভাপতি পার্থপ্রতিম রায়। বুধবার নেটমাধ্যমেও দলের এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন তিনি।
কোচবিহার জেলায় তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নতুন নয়। লোকসভা নির্বাচনের আগের থেকেই দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রে উদয়ন গুহের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে বিরোধিতা করেন তৃণমূলের বেশ কিছু স্থানীয় নেতা-কর্মী। প্রার্থী ঘোষণার পরও দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বদলের দাবি ওঠে। প্রার্থী হিসাবে উদয়নকে মেনে নিতে পারননি তাঁরা। এই পরিস্থিতিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঠেকাতে দিনহাটা বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের ৬ জন নেতাকে শোকজ করে পার্থপ্রতি। তাঁদের শোকজ করার পর নেটমাধ্যমে পোস্ট করে জানিয়ে দেন কোন নেতাদের শোকজ করা হয়েছে এবং কেন এই পদক্ষেপ। অভিযুক্তদের কাছ থেকে ৩ দিনের মধ্যে জবাব চাওয়া হয়েছে দলের তরফে।
শোকজ হওয়া ৬ জন নেতার তালিকায় রয়েছেন, মির ইকবাল কবির, মিলন সেন, বাদল নন্দী, অজয় রায়, সাবির সাহা চৌধুরী এবং তরণীকান্ত বর্মন। তাদের বিরুদ্ধে দলের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ না করার অভিযোগ তোলা হয়েছে। পার্থপ্রতিম লিখেছেন, ‘৩ দিনের মধ্যে সন্তোষজনক উত্তর না পাওয়া গেলে দলের নির্দেশেই কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে’।
এ বিষয়ে যুব তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক সাবির বলেন, ‘‘দল থেকে আমাদের কাছে কোনও নির্দেশ আসেনি। তাই আমরা প্রার্থীর হয়ে প্রচারেও নামিনি।’’ সাবিরের দাবি, প্রার্থিতালিকা ঘোষণার আগে সমস্ত দলীয় কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছে তাঁরা। কিন্তু প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পর প্রার্থী অথবা জেলা সভাপতি তাঁদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ করেননি। তিনি বলেন, ‘‘এর আগে বিজেপি রাজ্য সম্পাদক সায়ন্তন বসুর বিরুদ্ধে দিনহাটায় একটি দলীয় কর্মসূচিতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে কু-মন্তব্য করায় অভিযোগে দিনহাটা শালমারা এলাকায় একটি বিক্ষোভ মিছিল করা হয়েছিল জেলা তৃণমূল নেতৃত্বের অনুমতি ছাড়া। তার জন্য জেলা নেতৃত্বের কাছে কৈফিয়ত দিতে হয়েছিল। তাই জেলা নেতৃত্ব বা প্রার্থীর নির্দেশ না থাকায় আমরা প্রচারে নামিনি।’’ একই যুক্তি শোকজ নোটিস প্রাপ্ত বাকি ৫ জন তৃণমূল নেতারও।