হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত তৃণমূল কর্মীরা। নিজস্ব চিত্র।
করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জন্য বিজয় উৎসব করতে নিষেধ করেছেন নেত্রী। তাই সোমবার রাতে হুগলি জেলার বলাগড়ের বারুজীবী কলোনিতে পিকনিক করছিলেন তৃণমূলের কর্মীরা। সে সময় তাঁদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল বিজেপি-র বিরুদ্ধে। ভোজালির আঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন ৫ তৃণমূল কর্মী। তাঁরা এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। স্থানীয় বিজেপি নেতা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপানোর কথা অস্বীকার করলে মারামারি কথা স্বীকার করেছেন তিনি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে বারুজীবীতে জয়ের আনন্দে পিকনিক করছিলন জনা ৪০ তৃণমূল কর্মী-সমর্থক। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ খাওয়া দাওয়া চলছিল সেখানে। ঝড় বৃষ্টিতে সে সময় বিদ্যুৎ চলে যায়। অন্ধকারে তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ। তৃণমূলের দাবি, ধারালো অস্ত্র দিয়ে তৃণমূল কর্মীদের কোপাতে থাকে বিজেপি-র দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় শাসকদলের ৫ কর্মী আহত হয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাপ্পা ঘোষ এবং তাঁর ভাই বাপন ঘোষের আঘাত গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। আহতদের প্রথমে জিরাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে চুঁচুড়ার ইমামবাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হওয়য়া বাপ্পা ঘোষকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘বিজয় মিছিল বন্ধ। দলের কর্মীরা একটু আনন্দ করছিল। তখন অতর্কিতে হামলা চালায় বিজেপি। বারুজীবীর ওই বুথে বিজেপি বরাবরই গণ্ডগোল করে। বেচু নায়েক এবং অলোক কুন্ডুর নির্দেশে অনিমেষ দেবনাথের দলবল আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ করেছি।’’
বিজেপি-র হুগলি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি গৌতম চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, ‘‘বিজেপি-কে সব জায়গায় মারা হচ্ছে। আমাদের কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুর করা হচ্ছে। বলাগড়ে একটা সংঘর্ষ হয়েছে। তৃণমূলের ছেলেরা আমাদের মেরেছিল। তাই আমাদের ছেলেরাও মেরেছে।’’ এই ঘটনায় ৪ জন বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে বলাগড় থানার পুলিশ।