নিহত তৃণমূল কর্মী। —নিজস্ব চিত্র।
ভোট পরবর্তী হিংসার বলি হলেন খানাকুলের এক তৃণমূল কর্মী। অভিযোগ, সোমবার সকালে তাঁকে পিটিয়ে খুন করেছে বিজেপিআশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যদিও এই ঘটনায় নিজেদের দলের কারও জড়িত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। গোটা ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফল বলে তাঁদের দাবি।
পুলিশ সূত্রে খবর, নসিবপুরের বাসিন্দা নিহত দেবু প্রামানিক (৪৮) এলাকায় তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বলে পরিচিত ছিলেন। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, রবিবার রাতে প্রথম বার দেবুকে আক্রমণ করে দুষ্কৃতীরা। তাঁকে বেধড়ক মারধর করে পালিয়ে যায়। সোমবার সকালে দেবুর বাড়িতে ফের দুষ্কৃতীরা হামলা চালায়। পরিবারের লোকজনের সামনেই তাঁকে বাড়ি থেকে টেনে বার করে নিয়ে এসে পেটাতে থাকে দুষ্কৃতীরা। দেবুর স্ত্রী-ছেলেরা বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। আক্রান্ত হন দেবুর এক ভাইপো অসিত পরামানিকও। এর পর দেবুকে বাড়িতে ফেলে রেখে সেখান থেকে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে স্থানীয় ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়। দেবুর ভাইপোও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সোমবার এই ঘটনার পর এলাকায় পৌঁছয় বিশাল পুলিশ বাহিনী। খানাকুলে আসেন তৃণমূল জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবও। তিনি বলেন, “দুই ছেলে ও স্ত্রী নিয়েই সংসার ছিল নিহত তৃণমূল কর্মীর। ছোট একটা মুদিখানা দোকান চালিয়ে তাঁর সংসার চলত। আরামবাগে ৪টে আসন জিতেছে বিজেপি। আর গোটা বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে জিতেছে তৃণমূল। তৃতীয় বারের জন্য আমরা সরকার তৈরি করেছি। তাই বিজেপি এ ভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।”
যদিও গোটা ঘটনার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি-র আরামবাগ সভাপতি বিমান ঘোষ বলেন, “এ কাজ বিজেপি করেনি। বরং নিজেদের গন্ডগোলের দায় বিজেপি-র উপর চাপিয়ে দিচ্ছে তৃণমূল।”