—ফাইল চিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সভাস্থলকে ঘিরে জটিলতা তৈরি হয়েছে নদিয়ার কল্যাণীতে। আগামী ১০ এপ্রিল কল্যাণীতে সভা করতে আসার কথা প্রধানমন্ত্রীর। বিজেপি-র দাবি, মোদীর সভাস্থল ঠিক করার জন্য জেলা নেতৃত্ব কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরের একটা পরিত্যক্ত জায়গা বেছে নেন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে মোদীর সভা করার অনুমতিও চাওয়া হয়। অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাতে অনুমতি দিতে চাননি। এতে বিজেপি কর্মী-সমর্থকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে বুধবার সভাস্থলের অনুমতির দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে ঘেরাও করেন।
বিজেপি-র দাবি, নরেন্দ্র মোদী কল্যাণীতে সভা করতে আসবেন। সে কারণে কল্যাণী বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি পরিত্যক্ত জায়গা চাওয়া হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ অনুমতি দিতে চাইছেন না। তাই দলের নেতা কর্মীরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ঘেরাও করেন। তবে তাঁকে ঘেরাও করার কথা অস্বীকার করেছেন রেজিস্ট্রার উৎপল ভট্টাচার্য।। তিনি বলেন, “কোনও ঘেরাও হয়নি। প্রধানমন্ত্রীর সভা করার জন্য বিজেপি যে জায়গা চাইছে তা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে।”
তবে বিষয়টি নিয়ে বৃহস্পতিবার বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বৈঠক করবেন বলেও জানিয়েছেন রেজিস্ট্রার। তার পরই ঠিক হবে জনসভা করার অনুমতি দেওয়া হবে কি না। ফলে মোদীর সভাস্থল নিয়ে আপাতত জটিলতা রয়ে গিয়েছে। বৃহস্পতিবারের বৈঠকে অনুমতি মিলবে কি না তার অপেক্ষায় জেলা বিজেপি। তবে তাঁরা বিষয়টি নিয়ে আশাবাদী। বিজেপি-র রাজ্য কমিটির সদস্য সপ্তর্ষি চৌধুরী বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে কল্যাণীতে মাঠ নিয়ে কিছু সমস্যা হলেও, তেমন বড় কিছু নয়। ওখানেই মোদীর সভা হবে ১০ তারিখ। বুধ কিংবা বৃহস্পতিবারের মধ্যেই সভাস্থল চূড়ান্ত হয়ে যাবে।”