ফাইল চিত্র।
ভারতের রাজধানী একটি নয়, চারটি হওয়া উচিত। তার মধ্যে অবশ্যই একটি কলকাতা হতে হবে। বিধানসভা নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়ার আগে আগেই এমন দাবি তোলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এই ‘আক্রমণ’ স্পষ্টতই ছিল নরেন্দ্র মোদী সরকারের ‘দিল্লিকেন্দ্রিকতা’র বিরুদ্ধে। সেই দাবিতে সাড়া দেয়নি কেন্দ্র। কিন্তু বিজেপি যে কলকাতাকে নিয়ে আলাদা করে ভাবছে তা পদ্মশিবির বুঝিয়ে দিল বিধানসভা নির্বাচনের ইস্তাহারে।
মুম্বইকে ভারতের ‘অর্থনৈতিক রাজধানী’ বলা হয়। কলকাতা বরাবরই পেয়েছে ‘সাংস্কৃতিক রাজধানী’র তকমা। এ বার বিজেপি-র প্রতিশ্রুতি, রাজ্যে ক্ষমতায় এলে নতুন কলকাতার জন্ম হবে। ‘ফিউচার সিটি’ করার পরিকল্পনায় যেমন শহরের পরিকাঠামোগত উন্নতির কথা বলা হয়েছে, তেমনই নাগরিকদের আর্থিক সুবিধা সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতির ঘোষণাও রয়েছে। তবে অবশ্যই নজর কেড়েছে একটি ঘোষণা, কলকাতা আর্থিক পরিষেবার প্রধান কেন্দ্র হবে। এ যেন মমতার দাবিরই জবাব।
গ্রাফিক : শৌভিক দেবনাথ
এ ছাড়াও প্রতি বাড়িতে ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুৎ, ২০০ ইউনিট পর্যন্ত বিনামূল্যে বিদ্যুতের প্রতিশ্রুতি রয়েছে। একের পর এক অগ্নিকাণ্ড এবং তার বিপর্যয় দেখা কলকাতাকে আর একটি বড় প্রতিশ্রুতি দিয়েছে বিজেপি। জানিয়েছে, দল ক্ষমতায় এলে প্রতিটি বাড়িতে নিয়মিত অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখা হবে। সেই সঙ্গে বাসের সংখ্যা বাড়ানো-সহ মেট্রো রেলকে শহরতলিতে নিয়ে যাওয়ার ঘোষণাও রয়েছে বিজেপি-র ইস্তাহারে। রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বিজেপি যে ‘ডাবল ইঞ্জিন সরকার’-এর কথা বলছে, তার জোর দেখাতেই এই প্রতিশ্রুতি। কারণ, কেন্দ্র এবং রাজ্যের সরকারের মধ্যে সহযোগিতার আবহ না থাকলে মেট্রো রেল বাড়ানোর মতো প্রতিশ্রুতি দেওয়া যায় না।