গৌতম দেব ও অশোক ভট্টাচার্য
শয্যার অভাব, অক্সিজেনের সঙ্কটের আশঙ্কা মেটাতে বিভিন্ন স্তরে দাবি উঠেছে। করোনা পরিস্থিতিতে শিলিগুড়ি তথা দার্জিলিং জেলায় সরকারি হাসপাতাল, নার্সিং হোমে শয্যার অভাব, অক্সিজেন সরবরাহে সমস্যার আশঙ্কার কথা স্বীকার করে নিলেন বিদায়ী পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। ভোট পরিস্থিতির মধ্যে ব্যবস্থা নিতে তিনি নেমেও পড়েছেন। কিন্তু ভোটের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে তিনি এই অবস্থায় বৈঠক করতে পারছেন না। তাতে সেই কাজে সমস্যা হচ্ছে। পুরসভাও আগের মতো পরিষেবা দিচ্ছে না বলে বিভিন্ন স্তর থেকে অভিযোগ উঠছে।
গত বছর কোভিড পরিস্থিতিতে দুটো নার্সিং হোম নিয়ে সরকারের তরফে কোভিড হাসপাতাল করা হয়েছিল। তাতে তিনশোর বেশি শয্যার ব্যবস্থা হয়েছিল। কিন্তু এ বার এখনও হয়নি। গৌতম বলেন, ‘‘গত বছর মাটিগাড়া ও কাওয়াখালিতে দুটো নার্সিং হোম নিয়ে কোভিড হাসপাতাল চালু হয়েছিল। সেটা সরকারের নীতিগত সিদ্ধান্ত ছিল। ভোট পরিস্থিতিতে সরকার তা নিতে পারছে না। তবে মানুষ তা চাইছে। সেটা স্বাস্থ্য সচিবকে জানাব। তাঁরা সিদ্ধান্ত নেবেন।’’ রবিবার রাতে রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করেছিলেন শিলিগুড়ির বিদায়ী বিধায়ক অশোক ভট্টাচার্য। তিনি দাবি করেন, ওই পরিস্থিতিতে শয্যা আরও অনেক বাড়ানো দরকার। আগের দুটো কোভিড হাসপাতাল চালু করা দরকার। মুখ্যসচিবকে তা জানিয়েছেন। গৌতম বলেছেন, ‘‘ভোট চলছে। আমার অসুবিধা আপনারা বুঝতে পারছেন। নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করতে পারছি না। তাতে ব্যবস্থা নিতে, নজরদারিতে অসুবিধা হচ্ছে।’’