টহল পুলিশের। নিজস্ব চিত্র।
ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই তেতে উঠছে নানুর। অশান্তি যেন থামছেই না। গত কয়েকদিন ধরে স্থানীয় লাইলিপাড়া, কুড়গ্রাম, সাঁতরা প্রভৃতি গ্রামে বিজেপি কর্মীদের মারধর এবং বোমাবাজির অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। শনিবার রাতে ফের উঠল গোলাগুলি চালানোর অভিযোগ। বুধবারই বিজেপির বেলুটি বুথ কমিটির সভাপতি রাম হাজরার বাড়ির সামনে চারটি বোমা ফাটানো হয় বলে অভিযোগ। তাঁর বাড়ির অদূরে উদ্ধার হয় ৩টি সকেট বোমা। তার পরে শনিবার রাতে গোলাগুলির লড়াইয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে গোপডিহি গ্রাম। পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন বিকেলে বাসাপাড়ায় বিজেপি প্রার্থী তারকেশ্বর সাহার সমর্থনে সভা ছিল বিজেপি নেতা অনুপম হাজরার। সকালে তারকেশ্বরবাবুর নেতৃত্বে গোপডিহি গ্রামে মিছিল ছিল বিজেপির। অন্যদিকে বিকেলে বালিগুণি গ্রামে সভা ছিল তৃণমূলের। সেই উপলক্ষে উভয়পক্ষ ওই গ্রামে প্রচার চালাচ্ছিলেন। সেইসময় গোলাগুলি শুরু হয় বলে বাসিন্দাদের দাবি।
রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ দিন সকালে গিয়ে দেখা যায় গ্রামের কালীতলা বাগদিপাড়া সংলগ্ন রাস্তায় বেশ কিছু বোমা বিস্ফোরণের চিহ্ন। পড়ে রয়েছে একটি গুলির খোল। তারকবাবুর অভিযোগ, ‘‘আমাদের মিছিল এবং সভায় লোক যাওয়া আটকাতে তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা সন্ত্রাস সৃষ্টি করতেই গোলাগুলি চালায়।’’ ওই অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুব্রত ভট্টাচার্য পাল্টা বলেন, ‘‘আমাদের কেউ ওই ঘটনায় জড়িত নয়। সভায় লোকজন হবে না বলে সস্ত্রাসের গল্প ফাঁদতে বিজেপি নিজেই ওইসব কাণ্ড করেছে।’’
পুলিশ গুলির খোল উদ্ধারের বিষয়টি অস্বীকার করেছে। পুলিশ জানায়, ওই ঘটনায় উভয় পক্ষের ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।