হামলায় আহত মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বিজেপি প্রার্থী। নিজস্ব চিত্র।
নির্বাচনী প্রচারের সময় আক্রান্ত হলেন মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের বিজেপি প্রার্থী মতিউর রহমান। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে মালিওর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের খাড়াগ্রাম এলাকায় তাঁর উপর হামলা চালায় তৃণমূল। গলায় এবং ঘাড়ে আঘাত লাগে মতিউরের। তৃণমূলের তরফে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
বিজেপি সূত্রের খবর, শুক্রবার বিকেলে থেকে মালিওর-২ নম্বর ব্লকে ভোট প্রচার করছিলেন হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার প্রার্থী মতিউর। খাড়াগ্রামে নির্বাচনী প্রচার করার সময় হঠাৎ শৌচাগার যাওয়ার প্রয়োজন হয় তাঁর। মতিউর শৌচকর্ম সারতে খাড়াগ্রামে তাঁর এক আত্মীয়ের বাড়িতে যান। ওই সময় স্থানীয় এক তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ আলাউদ্দিন ওরফে সেন্টু কয়েক জন অনুগামী নিয়ে মতিউরের উপর চড়াও হন বলে অভিযোগ।
ধস্তাধস্তির সময় মতিউর ঘাড়ে এবং গলায় আঘাত পান। এমনকি, বিজেপি প্রার্থীর পরনের পাঞ্জাবীও ছিঁড়ে দেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। মতিউর বলেন, ‘‘আলাউদ্দিন আমাকে বলেছিল ওর গ্রামে প্রচার করা যাবে না। আমি প্রতিবাদ করায় মারধর করেছে।’’ ঘটনার পর হরিশ্চন্দ্রপুর প্রাথমিক চিকিৎসাকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয় মতিউরকে। পরে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় এ বিষয়ে অভিযোগ জানান, স্থানীয় বিজেপি নেতারা। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া না হলে আন্দোলনে নামা হবে। হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপি পর্যবেক্ষক অনিরুদ্ধ সাহা বলেন, ‘‘পরিকল্পনা মাফিক আমাদের প্রার্থীর উপর হামলা চালিয়েছে তৃণমূল।’’
যদিও হামলার ঘটনার কথা অস্বীকার করে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র শুভময় বসু বলেন, ‘‘বিজেপি-র অভ্যন্তরীণ বিবাদের জন্যই এমন ঘটনা। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও সম্পর্ক নেই। ঘটনা প্রসঙ্গে, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা আলাউদ্দিন জানান, বিজেপি প্রার্থী তাঁর দাদার বাড়িতে শৌচলয়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় বাড়িতে তাঁর ভাইপোর বউ একা ছিলেন। মতিউর তাঁকে বিজেপি করার জন্য আবেদন করেন। ভাইপোর বউ সেই প্রস্তাব খারিজ করলে বিজেপি প্রার্থী তাঁর শ্লীলতাহানি করেনি বলে অভিযোগ আলাউদ্দিনের। এমনকি, ঘটনার প্রতিবাদ করলে মতিউরের দেহরক্ষীরা স্থানীয় তৃণমূল কর্মীদের মারধর করে বলেও অভিযোগ।
হরিশ্চন্দ্রপুর থানা সূত্রের খবর, বিজেপি এবং কংগ্রেস উভয়ই পরস্পরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে। ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ।