Viral Video

তৃষ্ণার্ত চিতাদের জল দিলেন যুবক! গ্রামবাসীদের সঙ্গে সংঘর্ষের মধ্যে কুনোর মন ভাল করা ভিডিয়ো ভাইরাল

স্ত্রী চিতা এবং তার চার শাবককে জল খেতে দিচ্ছেন এক তরুণ। চিতাগুলিও তাদের তৃষ্ণা মেটাতে জল খেতে এগিয়ে যাচ্ছে। তরুণকে নিয়ে তাদের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০২৫ ১৩:১৫
Share:

ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।

শাবকদের নিয়ে গাছের তলায় বসেছিল স্ত্রী চিতা জ্বালা। চিতার দলবল দেখে না পালিয়ে প্রাণ হাতে করে সে দিকেই এগিয়ে গেলেন এক তরুণ। একটি থালায় জল ঢেলে চিতাদের খেতে দিলেন তিনি। সমাজমাধ্যমে এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)

Advertisement

‘ফিল্মিমন্ত্রমিডিয়া’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, স্ত্রী চিতা এবং তার চার শাবককে জল খেতে দিচ্ছেন এক তরুণ। চিতাগুলিও তাদের তৃষ্ণা মেটাতে জল খেতে এগিয়ে যাচ্ছে। তরুণকে নিয়ে তাদের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। চিতাদের তেষ্টা মেটাতে পেরেছেন বলে সেখান থেকে হাসিমুখে সরে গেলেন তরুণ। দৃশ্যটি ক্যামেরাবন্দি করে রাখতেও ভুললেন না তিনি। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি সম্প্রতি মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে ঘটেছে। তরুণের নাম সত্যনারায়ণ গুরজার। বিজয়পুর এলাকার উমারি গ্রামের বাসিন্দা তিনি। কুনো জাতীয় উদ্যানের কাছেই রয়েছে সেই গ্রামটি।

সম্প্রতি জঙ্গলের ভিতর বেশ কয়েকটি চিতাকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে স্থানীয়দের একাংশের দাবি, জঙ্গল ছেড়ে গ্রামের ভিতর কখনও কখনও ঢুকে পড়ছে চিতাগুলি। তাঁদের গৃহপালিত পশু শিকার করে নিয়ে যাচ্ছে হিংস্র শ্বাপদগুলি। স্ত্রী চিতা জ্বালা তার শাবকদের নিয়েও উন্মুক্ত এলাকায় ঘুরে বেড়াচ্ছে। চিতাদের আক্রমণের ফলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে গ্রামে গ্রামে। এমন পরিস্থিতিতে তরুণের এই ভিডিয়োটি আরও আশঙ্কার সৃষ্টি করেছে। এক গাছের তলায় চার শাবককে নিয়ে বসেছিল জ্বালা।

Advertisement

সে দিকে জলভর্তি পাত্র নিয়ে এগিয়ে যেতে দেখা গিয়েছে সত্যনারায়ণকে। একটি থালায় সেই পাত্র থেকে জল ঢেলে দেন তিনি। তরুণকে জল ঢালতে দেখে সে দিকে দল বেঁধে এগিয়ে যায় চিতাগুলি। নিজেদের তৃষ্ণা মেটাতে জলে চুমুক দেয় তারা। চিতাদের জল পান করতে দেখে সেখান থেকে হাসিমুখে বিদায় নেন তরুণ। চিতাগুলিও যেন তাদের তৃষ্ণা মিটিয়ে প্রাণ জুড়ায়। বন দফতরের তরফে জানানো হয়েছে যে, চিতাগুলির গতিবিধির উপর নজর রাখা হয়েছে। তারা দাং গ্রামের আশপাশে ঘোরাফেরা করছে। যত দ্রুত সম্ভব তাদের গভীর জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement