(বাঁ দিক থেকে) দেওয়াল লিখনে ব্যস্ত অরিন্দম গুঁই, জনসংযোগে তপন দাশগুপ্ত। নিজস্ব চিত্র
নাম ঘোষণার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রচারে নামলেন হুগলির একঝাঁক তৃণমূল প্রার্থী। শনিবার হুগলির বিভিন্ন বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটপ্রচার করেন তাঁরা। চাঁপদানি, সপ্তগ্রাম, গোঘাট এবং পুরশুড়া বিধানসভার বিভিন্ন এলাকায় প্রচার করেন তৃণমূল প্রার্থীরা।
শনিবার পাড়ার শিবমন্দিরে পুজো দিয়ে প্রচার শুরু করেন চাঁপদানির তৃনমূল প্রার্থী অরিন্দম গুঁই। শুক্রবারই প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেছে তৃণমূল। তাতে প্রত্যাশিত ভাবেই চাঁপদানি কেন্দ্রের টিকিট পেয়েছেন বৈদ্যবাটি পুরসভার প্রশাসক। ভোট-যুদ্ধে প্রথমবার নেমেছেন অরিন্দম। ওই কেন্দ্রে গতবার জয়ী হন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান। তবে লোকসভা ভোটের নিরিখে মান্নানের কেন্দ্রে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। শনিবার দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেওয়াল লিখতে দেখা যায় অরিন্দমকে। প্রচারও করেন বিভিন্ন এলাকায়।
প্রার্থিতালিকা ঘোষণার পর দিনই নিজের সপ্তগ্রাম কেন্দ্রের শহর এবং গ্রামাঞ্চলে প্রচার করলেন রাজ্যের মন্ত্রী তপন দাশগুপ্তও। শনিবার হুগলির বাঁশবেড়িয়ার হংসেশ্বরী মন্দিরে পুজো দেন তিনি। সেখান থেকে যান পোলবা-দাদপুরের গোস্বামী মালিপাড়ায়। সেখানে বিশালক্ষী মন্দিরেও পুজো দেন তিনি। এর পর পুরোদমে শুরু করেন প্রচার। প্রসঙ্গত, গত বিধানসভা নির্বাচনে ওই কেন্দ্র থেকে জয় পেলেও, লোকসভা ভোটের নিরিখে ওই কেন্দ্রে বিজেপির কাছে পিছিয়ে তৃণমূল।
শনিবার ভোটপ্রচারে নামেন গোঘাটের প্রার্থী মানস মজুমদার। এ বার ওই কেন্দ্র থেকে দ্বিতীয় বারের জন্য ভোটপ্রার্থী তিনি। প্রথম বার বিধানসভার লড়াইয়ে নেমেছেন তৃণমূলের হুগলি জেলার সভাপতি দিলীপ যাদব। পুরশুড়া কেন্দ্রের প্রার্থী তিনি। শনিবার প্রচার শুরু করেন তিনিও। তবে লোকসভা ভোটের নিরিখে গোঘাট এবং পুরশুড়া দু’টি কেন্দ্রেই বিজেপির কাছে পিছিয়ে তৃণমূল।