বারাসতে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল প্রার্থী চিরঞ্জিত চক্রবর্তী। নিজস্ব চিত্র।
বারাসত বিধানসভা কেন্দ্রে তৃতীয় বারের জন্য তৃণমূল প্রার্থী হিসেবে শুক্রবার তাঁর নাম ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শনিবার সকালেই নিজের নির্বাচন কেন্দ্রে হাজির হয়ে রাজনৈতিক ‘তৎপরতা’ শুরু করে দিলেন বিদায়ী বিধায়ক তথা অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী।
শনিবার বারাসত পৈঁছে পুরভবনে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। এর পর সাংবাদিক বৈঠক করেন। কিন্তু অনুপস্থিত ছিলেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ । উল্লেখযোগ্য অনুপস্থিতদের তালিকায় রয়েছেন, জেলা তৃণমূল কো-অর্ডিনেটর নারায়ণ গোস্বামী, পুরসভার মুখ্য প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায়।
তৃণমূল প্রার্থী চিরঞ্জিতের দাবি, তিনি বারাসতে জয়ের হ্যাটট্রিক করতে চলেছেন। সেই সঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আমাদের দলের যাঁরা বারাসতে টিকিটের দাবিদার ছিলেন অথচ মনোনীত হননি, তাঁদেরও আমি পাশে চাই পাশে চাই।’’
চিরঞ্জিৎ মনে করেন, স্থানীয় না হওয়া তাঁর বিরুদ্ধে বিপক্ষের ইস্যু হিসেবে কাজ করবে না। কারণ, স্থানীয় মানুষের কোনও কাজ বিগত ১০ বছরে তাঁর হাতে আটকে থাকেনি। তিনি বলেন, ‘‘অধিকাংশ কাজ বিগত ১০ বছরে হয়ে গিয়েছে। সামান্য যে কাজ বাকি আছে তা-ও হয়ে যাবে।’’
আগামী ৫ বছর তিনি বারাসতের মানুষের সেবা করতে পারবেন বলে আশাবাদী চিরঞ্জিৎ। তবে প্রতিপক্ষ বিজেপি-র মোকাবিলা নয়, বারাসতে জয়ের হ্যাটট্রিক করতে হলে আগে সকলকে একজোট করাই তাঁর মূল লক্ষ্য বলে জানান অভিনেতা-বিধায়ক। স্থানীয় রাজনীতির কারবারিরা বলছেন, ভোটের আগে সেটাই এখন চিরঞ্জিতের শিরঃপীড়া।