West Bengal Assembly Election 2021

Narendra Modi’s Brigade Rally: মোদীর ব্রিগেডে বিশৃঙ্খলা সামলাতে হিমশিম খেলেন নেতারা

ব্রিগেডের ভিড়ের চমক দিয়ে মোদীকে ‘মুগ্ধ’ করার কথা ভেবেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা। দশ লক্ষ মানুষকে জড়ো করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২১ ১৫:৩৯
Share:

রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড। বিজেপির ট্যুইটার।

ব্রিগেডে বিশৃঙ্খলা। আর তা সামলাতে হিমশিম খেলেন প্রথম সারির বিজেপি নেতারা। রবিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড জনসভায় একবার নয়, দু’-দু’বার ঘটল এমন ঘটনা। জনতাকে সামলাতে ডায়াসে উঠতে হল একের পর এক বিজেপি নেতা— বাবুল সুপ্রিয়, লকেট চট্টোপাধ্যায়, দিলীপ ঘোষকে। তবে তাতে কাজ হয়নি। শেষে টানা তিন মিনিট ধরে মিষ্টি কথায় জনতাকে সামলাতে হল কৈলাস বিজয়বর্গীয়কে। স্পষ্ট হল, বিজেপি নেতাদের কাছে ব্রিগেডে ভিড় জমানো যত সহজ, ভিড় সামলানো ততটা নয়।

Advertisement

ব্রিগেডের ভিড়ের চমক দিয়ে মোদীকে ‘মুগ্ধ’ করার কথা ভেবেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি নেতারা। দশ লক্ষ মানুষকে জড়ো করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তাঁরা। সেই ভিড় দেখা যায়নি। বিজেপি নেতাদের বলতে শোনা গিয়েছে, মাঠের ভিতরে যত ভিড়, তার চেয়ে অনেক বেশি মাঠের বাইরে। তবে মাঠের মধ্যের ভিড় সামলাতেই রীতিমতো উদ্বিগ্ন হতে দেখা গেল বাংলার বিজেপির প্রথম সারির নেতৃত্ত্বকে।

রবিবার ব্রিগেডের মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী উঠতেই ঠেলাঠেলি শুরু হয় ময়দানে। সংবাদমাধ্যমের জন্য সংরক্ষিত জায়গার পিছন থেকে জনতাকে সামনের দিকে এগিয়ে আসতে দেথা যায়। শুরু হয় বিশৃঙ্থলা। মঞ্চে বিজেপি নেতাদের মুখে স্পষ্ট ধরা পড়ে উদ্বেগের ছাপ। বাবুল চলে আসেন মাইকের সামনে। জনতাকে বারবার শান্ত হতে বলেন। এরপর বাবুলকে সরিয়ে লকেট চলে আসেন ডায়াসে। জনতার উদ্দেশে তিনি বলতে শুরু করেন, ‘‘মা-বোনেদের বলছি। আপনারা দয়া করে সুন্দর ভাবে বসুন। যে যেখানে আছেন বসে পড়ুন। ও ভাবে চেয়ার তুলবেন না সামনে এগিয়ে আসবেন না।’’

Advertisement

ভিড়ের মধ্যে কোথায় জটলা হচ্ছে তা ক্যামেরায় দেখা না গেলেও বিজেপি নেতাদের মুথের ভাব দেখেই বোঝা যাচ্ছিল তাঁরা বেশ উদ্বিগ্ন। প্রধানমন্ত্রীর ব্রিগেডে আসার সময় যত এগিয়েছে ততই বেড়েছে সেই উদ্বেগ। ব্রিগেডে এসে মোদীকে যেন এ ধরনের পরিস্থিতির মুথে না পড়তে হয়। লকেটের কথায় কাজ না হওয়ায় আসরে নামেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ। বেশ কড়া মেজাজেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী জনতাকে শান্ত হতে বলেন দিলীপ। বলেন, ‘‘মাঠে ভিড় অত্যন্ত বে়ড়ে গিয়েছে। আপনারা ব্যারিকেডে ডিঙিয়ে ভিতরে ঢুকবেন না। সবকিছুর একটা সীমা আছে।’’ দীলিপের এমন ধমকেও কাজ হয়নি। এর পরই আসরে নামেন বাংলায় বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়। টানা ৩ মিনিট ধরে অত্যন্ত মিষ্টি কথায় তিনি শান্ত করার চেষ্টা করেন ব্রিগেডের জনগণকে। তাঁর কথাতেই কাজ হয়। জনতার মনোযোগ সরাতে মিঠুন চক্রবর্তীকে মঞ্চে ডেকে নেন কৈলাস।

তবে মিঠুনের বক্তৃতা চলাকালীন বিশৃঙ্খলা কিছুটা থামলেও ব্রিগেডে মোদী ঢোকার মুখেই ফের শুরু হয় গোলমাল। ফের সামলাতে ডায়াসে আসতে হয় বাবুল সুপ্রিয়কে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement