Mamata Banerjee

Bengal Polls: কেন্দ্রীয় বাহিনী যা-ই বলুক, ভোটবাক্স পাহারা দিতে হবে নিজেদেরই, পটাশপুরে আর্জি মমতার

মমতা জানান, তৃণমূল ফের ক্ষমতায় এলে শিক্ষকের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে। ৫০০ টাকা করে হাতখরচ পাবেন মহিলারা। দুয়ারে দুয়ারে রেশন পৌঁছে যাবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটাশপুর শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০২১ ১৩:৪৪
Share:

পটাশপুরের জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এগরার জনসভা থেকে বিজেপি-র বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “লুঠ, দাঙ্গা, মানুষ খুন বিজেপি-র তিনটে গুণ।” তাই বিজেপি-কে যাতে একটা ভোট না দেওয়া হয় শুক্রবার এগরার জনসভা থেকে সেই আহ্বানই জানিয়েছেন মমতা।

Advertisement

ভোটবাক্স পাহারা দিতেও মানুষকে আর্জি জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘ইভিএম মেশিনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ইভিএম খারাপ বলে নতুন মেশিন এলে পরীক্ষা করে দেখুন। কেন্দ্রীয় বাহিনী যাই-ই বলুক না কেন, নিজেরা ভোটবাক্স পাহারা দিন।’’

বাংলার মানুষের নাম বাদ পড়ুক চান না বলেই, এ রাজ্যে কেন্দ্রকে জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি (এনপিআর) চালু করতে দেননি বলেও জানান মমতা।

Advertisement

পটাশপুরে কী বললেন মমতা—

‘বিজেপি অত্যাচারী সরকার। কৃষক বিরোধী সরকার। বাম-কংগ্রেস-কে দিয়ে ভোট নষ্ট করবেন না।

ইভিএম মেশিনের দিকে খেয়াল রাখতে হবে। ইভিএম খারাপ বলে নতুন মেশিন এলে পরীক্ষা করে দেখুন। কেন্দ্রীয় বাহিনী যাই-ই বলুক না কেন, নিজেরা ভোটবাক্স পাহারা দিন। এখানে জিতলে দিল্লিতেও পরিবর্তন আনব।

পায়ে চোট দিয়েছে আমার। খুব যন্ত্রণা রয়েছি। কিন্তু আমার যন্ত্রণা মা-বোনেদের হাতে ছেড়ে দিয়েছি।

গদ্দাররা সব বেইমানি করেছে। এখন তারা বিজেপি-র প্রার্থী। পুরনো লোকেরা কেউ নেই বিজেপি-র। তাঁরা ঘরে বসে কাঁদছেন। সিপিএমের হার্মাদ ও তৃণমূল থেকে গদ্দাররা গিয়ে বিজেপি-তে গিয়ে ছড়ি ঘোরাচ্ছে। বিজেপি-তে মহিলারা নিরাপদ নন।

বাংলায় বাঙালিই থাকবে, এটা বিজেপি-র ঘর নয়।

বাংলায় জাতীয় জনসংখ্যা পঞ্জি হতে (এনপিআর) দিইনি আমি। কারণ আমি চাই না আমার রাজ্যের কোনও মানুষের নাম বাদ যাক।

লকডাউনে বাস পাঠিয়ে বাংলার লোকজনকে ফিরিয়ে এনেছিলাম, আর বিজেপি-র জন্য কত লোক মারা গিয়েছেন।

• মাথায় তিলক লাগিয়ে বলছে একে ওকে মারব।

বিজেপি-কে ভোট দেওয়া যাবে না। বিজেপি-কে একটা ভোট দেওয়া মানে সর্বনাশ, বিজেপি-কে একটা ভোট দেওয়া মানে বিসর্জন। আর তৃণমূলকে ভোট দেওয়া মানে উন্নয়ন

দিঘাসুন্দরীকে কী ভাবে সাজিয়ে দিয়েছি, তা আপনারা দেখেছেন।

কৃষকদের আমার ৬ হাজার টাকা করে বছরে দিই। সেটা ১০ হাজার করে দেওয়া হবে।

• কেরোসিনের দাম কত বেড়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে না। বিনা পয়সায় চাল খাবেন, আর মোদীর সরকার গ্যাসের দাম করেছে ৮০০ টাকা। খাবেন কী!

• যাঁরা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড পাননি, তাঁরা নির্বাচনের পরে একটা দরখাস্ত করবেন। তাঁরা পেয়ে যাবেন। যাঁরা পাননি, অগস্ট সেপ্টেম্বরে আবার দুয়ারে সরকার আসবে।
• রেশন দোকানে যেতে হবে না। দরজায় দরজায় যাবে।

• যদি আপনারা চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকুক, দয়া করে একটা ভোট আমাকে দেবেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement