প্রার্থী করার মতো লোক মিলছে না বলেই সাংসদ আর তৃণমূল থেকে যাওয়া নেতাদের প্রার্থী করতে হচ্ছে বলে সভায় বিজেপিকে কটাক্ষ করলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। লাভপুরের মাঠে দাঁড়িয়ে আরও বললেন, ‘‘সবাইকে হারাব। গরুর পালকে যেমন ছুটিয়ে নিয়ে যায়, তেমন নিয়ে যাব।’’
এ দিনের সভার ভিড় কয়েক দিন আগে হওয়া বিজেপির ভিড়কে কয়েক গুণে ছাপিয়ে গিয়েছে বলে তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি। কয়েক দিন আগে স্থানীয় বগতোড় ফুটবল মাঠে সভা করে গিয়েছেন বিজেপি নেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। এ দিন সেই মাঠে সভা ছিল তৃণমূলের। স্বভাবতই মাঠে লোক সমাগম নিয়ে রাজনৈতিক মহলের কৌতুহল ছিল। সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সেই প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলের জেলা সভাপতি বলেন, ‘‘শুনলাম কয়েক দিন আগে এই মাঠে সভা করে গিয়েছেন বিজেপি নেত্রী। হাজার দেড়েক লোক হয়নি। আবার বড়ো বড়ো কথা।’’
যদিও বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, সভায় হাজার ছয়েক লোক হয়েছিল। তৃণমূলের তরফে দাবি, তাদের সভায় ২০ হাজারের বেশি লোক হয়েছে। পুলিশ সূত্রে অবশ্য জানানো হয়েছে, লোক হয়েছিল প্রায় ১৪ হাজার। বিজেপির স্থানীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ মণ্ডল বলছেন, ‘‘লোকসমাগম দিয়ে কিছু বিচার করা যায় না। শাসকদলের ভয়ে যেমন আমাদের সভায় লোক আসতে পারেননি, তেমনই আবার ভয়েই ওদের সভায় যেতে বাধ্য হয়েছেন। আসল খেলা তো হবে ভোটে।’’
খেলা হবে প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অনুব্রত বলেন, ‘‘নির্বাচন কমিশন যতই আমার পিছনে ক্যামেরা আর লোক ফিট করুক, তাতে খেলা আটকাতে পারবে না। যখন খেলা হবে বলেছি, তখন খেলা হবে। খেলা শুরুও হয়ে গিয়েছে।’’ বিজেপির প্রার্থী ঘোষণা প্রসঙ্গে অনুব্রতর কটাক্ষ, ‘‘বিজেপির গোয়াল শূন্য হয়ে গিয়েছে। তাই প্রার্থী করার মতো লোক খুঁজে পাচ্ছে না। সাংসদ আর আমাদের বাতিল করা লোকগুলোকে প্রার্থী করতে হচ্ছে।’’
এ দিনের সভায় অন্যদের মধ্যে ছিলেন সাংসদ অসিত মাল, লাভপুর কেন্দ্রের প্রার্থী অভিজিৎ সিংহ, ব্লক সভাপতি তরুণ চক্রবর্তী, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ছবি পাল প্রমুখ।