নায়কের পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলে রাখতে ব্যস্ত কমিশনের কর্মীরা। —নিজস্ব চিত্র।
ভোটপ্রার্থী হতেই পারেন, আদতে তো তিনি টলি-তারকা! এ হেন তারকা প্রার্থী যশ দাশগুপ্তকে হাতের কাছে পেয়ে লোভ সামলাতে পারলেন না নির্বাচন কমিশনের কাজে যুক্ত কর্মীরাও। কাজকর্ম শিকেয় তুলে টলি পাড়ার নায়কের পাশে দাঁড়িয়ে একের পর এক ছবি তুলতে লেগে পড়েন তাঁরা। তবে যশের সঙ্গে ছবি তুলে কমিশনের রক্তচক্ষুর মুখে পড়েছেন ওই কর্মীরা। শাসকদলের অভিযোগ পাওয়ামাত্রই নড়েচড়ে বসেছে কমিশনও।
শনিবার শ্রীরামপুরে মহকুমা শাসকের দফতরে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যান যশ। নীলবাড়ির লড়াইয়ে তিনি চণ্ডীতলা বিধানসভা আসনে বিজেপি-র যোদ্ধা। তবে সেখানে পৌঁছতেই তাঁকে ঘিরে ধরেন কমিশনের কর্মীরা। খানিকক্ষণ পরে দেখা যায়, নায়কের পাশে একগাল হাসি নিয়ে পালা করে দাঁড়াচ্ছেন এক এক করে। মোবাইলে সে ছবি তুলে রাখতে ব্যস্ত অন্য কর্মীরা। অনেকের আবার আবদার অটোগ্রাফের। সব মিটিয়ে নির্বিঘ্নে মনোনয়নের কাগজপত্র জমা দেন যশ। তবে বিজেপি প্রার্থীর সঙ্গে ছবি তোলার ঘটনার কথা জানতে পেরে কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল। কমিশনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগও তুলেছে তারা। শ্রীরামপুর শহর তৃণমূলের সহ-সভাপতি সন্তোষ সিংহের প্রশ্ন, “এক জন প্রার্থী যিনি চণ্ডীতলা বিধানসভায় বিজেপি-র হয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন, তাঁর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের লোকজন কী করে ছবি তোলে? আমরা আগেই বলেছি, কমিশন পক্ষপাতিত্ব করছে। এ ঘটনা তারই প্রমাণ। এ নিয়ে কমিশনে অভিযোগ জানানো হয়েছে।”
তৃণমূলের অভিযোগ পেয়েই ওই কর্মীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার কথা জানিয়েছে কমিশন। শ্রীরামপুর মহকুমা শাসক সম্রাট চক্রবর্তী বলেন, “প্রার্থীর সঙ্গে কর্মীদের ছবি তোলা হচ্ছে, এমন ছবি হাতে এসেছে। তবে কোনও লিখিত অভিযোগ এখনও পাইনি। প্রার্থীর সঙ্গে যাঁরা ছবি তুলেছেন, তাঁদের শোকজ করা হবে। তার পর তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।”