দেবাশিস কুমার ও দেবলীনা কুমার।
১ এপ্রিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক মঞ্চে ছিলেন। ৫ এপ্রিল বাবা দেবাশিস কুমারের ছায়াসঙ্গী! এ ভাবেই কি ২১-এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজনীতিতে হাতেখড়ি হল দেবলীনা কুমারের? সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ, দেবলীনা পুরভোটের সময় থেকেই বাবার প্রচার সঙ্গী। তখনই বাড়ি বাড়ি গিয়ে বাবার হয়ে প্রচার করেছেন। পদযাত্রায় হেঁটেছেন। বিধানসভা নির্বাচনেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মেয়র পারিষদ দেবাশিস কুমার চলতি নির্বাচনে রাসবিহারী কেন্দ্র থেকে দাঁড়িয়েছেন। বেশি প্রচার চাই। তাই নেট মাধ্যমের পাশাপাশি নিজে উপস্থিত থেকে আরও বেশি সময় দিচ্ছেন বাবার প্রচারে।
সেই মতোই মনোনয়নের দিন সকাল থেকেই বাবার পাশে দেবলীনা। পরনে ছিমছাম সাদা সালোয়ার-কুর্তা, ওড়না। গরম এড়াতে তুলে খোঁপা। চোখে রোদচশমা। এই সাজেই তিনি সহজ সুন্দরী। বাবার মতোই মুখ্যমন্ত্রীর অন্ধ সমর্থক দেবলীনাও। কিছু দিন আগেই ‘দিদি’র সঙ্গে তুলনা টেনে কটাক্ষে বিঁধেছেন দিলীপ ঘোষকে। বিজেপি রাজ্য সভাপতির বিলাসবহুল গাড়ি নিয়ে ব্যঙ্গ করেছেন। তাঁর নতুন ‘তারকাযোগ’ নিয়ে রসিকতা করতেও ছাড়েননি। একই সঙ্গে এও যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছেন, তাঁর চোখে ‘দিদি’ আর দিলীপ ঘোষের মধ্যে আকাশপাতাল পার্থক্য।
দেবাশিস কুমারের সঙ্গে দেবলীনা।
২১-এর ভোট প্রচারে দিলীপ ঘোষের বাহন ভ্যানিটি ভ্যান! এসি থেকে এলইডি টিভি, সবই আছে তাতে। সেই গাড়ির খানকয়েক ছবি জনৈক নেটাগরিক শেয়ার করেছেন নেটমাধ্যমে। চোখে পড়তেই সেই পোস্ট নিজের সামাজিক পাতায় ভাগ করে ক্যাপশনে খুল্লমখুল্লা হুল বিঁধিয়েছেন দেবলীনা, ‘বাংলার মেয়ে আগে পায়ে হেঁটে ঘুরতেন। আহত হওয়ার পর হুইল চেয়ারে ঘোরেন। আর এঁদের ভ্যানিটি ভ্যান ছাড়া চলে না!’ তার পরেই কটাক্ষ নতুন তারকাযোগ নিয়ে, ‘আসলে অনেক অভিনেতা-অভিনেত্রী সবে গেরুয়া শিবিরে জয়েন করছেন তো! তাঁদের দেখেই বোধ হয় ইন্সপায়ার্ড।'
রবিবারেও বিরোধী রাজ্য সভাপতি শিল্পীদের সম্বোধন করে ‘রগড়ে দেব’র তো মন্তব্য করেছেন। সংবাদমাধ্যমে সেই খবর প্রচারিত হতেই নিজের সামাজিক পাতায় দেবলীনা শেয়ার করেছেন যথারীতি। তবে কোনও মন্তব্য করেননি। সোমবার দেবাশিস কুমারের মনোনয়ন জমা দেওয়ার দিন। বাবার খাতিরেই কি মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন মেয়ে?