বরুণ প্রামাণিক।
ভোট মিটলেও রাজনৈতিক উত্তেজনা গোসাবায়। ওই কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী বরুণ প্রামাণিক এবং তাঁর সঙ্গীদের হেনস্থার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তাঁদের মারধরের পাশাপাশি প্রাণনাশের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও গোটা বিষয়টিকেই প্রচারের আলোয় আসার চেষ্টা বলে পাল্টা দাবি করেছে জোড়াফুল শিবির।
বিজেপি-র অভিযোগ, ভোটের আগে থেকেই দলীয় কর্মীদের মারধরের পাশাপাশি লাগাতার হুমকি দিচ্ছে তৃণমূল। তাঁদের দাবি, সোমবার নতুন করে অশান্তি ছড়ায় এলাকায়। বরুণের অভিযোগ, স্থানীয় শম্ভুনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি-র প্রধান তৃণমূলের অত্যাচারে দফতরে যেতে পারছেন না। তাঁর দাবি, সোমবার শম্ভুনগরের প্রধানকে নিয়ে পঞ্চায়েতের উদ্দেশে রওনা দিলে তাঁর উপর চড়াও হন তৃণমূল কর্মীরা। অভিযোগ, স্থানীয় তৃণমূল নেতা পরিতোষ হালদার দলবল নিয়ে চড়াও হন। বরুণের অভিযোগ, ‘‘বহু দিন ধরেই আমাদের কর্মীদের মারধর করছে তৃণমূল। এ বার আমিও আক্রান্ত হলাম। বিষয়টি থানার জানিয়েছি। নির্বাচন কমিশনেও অভিযোগ করেছি।’’
বরুণের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। অভিযুক্ত পরিতোষ বলছেন, ‘‘মিথ্যা অভিযোগ করে প্রচারের আলোয় আসার চেষ্টা করছে বিজেপি। নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে। এখন দোষ ঢাকতে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হচ্ছে।’’
গোসাবার পাশাপাশি তৃণমূল এবং বিজেপি সংঘর্ষ হল কুলতলিতেও। তৃণমূলের অভিযোগ, সোমবার মেরিগঞ্জের কয়ালেরচক এলাকায় আশিস গায়েন নামে এক তৃণমুল কর্মীর উপরে রড, লাঠি নিয়ে চড়াও হয় বিজেপি কর্মীরা। তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। তিনি মাথায় চোট পেয়েছেন বলে পুলিশের কাছে জানানো হয়েছে। আশিসকে উদ্ধার করতে গিয়ে চিত্তরঞ্জন হালদার এবং কিশোর নস্কর নামে আরও দুই তৃণমূল কর্মী জখম হন বলে অভিযোগ। ঘটনায় অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে। বিজেপি-র অবশ্য পাল্টা অভিযোগ, এলাকার তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই বিজেপি কর্মীদের মারধর করেছে।