নিজস্ব চিত্র।
ভোটের আগে তৃণমূল ত্যাগ করেছিলেন বেশ কিছু নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ থেকে সাধারণ সদস্য। ভোটের পরেও কি তেমনই দলত্যাগের আশঙ্কা করছেন তৃণমূলনেত্রী? বুধবার কোচবিহারের জনসভা থেকে তেমনই ইঙ্গিত দিলেন তিনি। অর্থের লোভেও কারও কারও দল ছাড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি তিনি। সম্ভাব্য দলত্যাগীদের গদ্দার আখ্যা দিয়ে মমতা বলেন, এ জন্য ২০০ আসন চাই তাঁর।
বুধবার নির্বাচনী জনসভায় মমতা বলেন, ‘‘আমি একা জিতে তো লাভ নেই। আমরা ভোট হয়ে গিয়েছে। আমি যেখানে দাঁড়াব সেখানেই জিতব। আমি এখানে দাঁড়ালে এখানেই জিততাম। আপনারাই আমাকে ভোট দিয়ে দিতেন। এটা সিডিউল কাস্ট সিট, তাই আমি চাইলেও দাঁড়াতে পারব না, পদবির ব্যাপার আছে। আমি একা জিতে তো সরকার গঠন করতে পারব না।’’ এরপরেই তিনি বলেন, ‘‘২৯৪-এর মধ্যে মিনিমাম আমার ২০০ চাই। আর ২০০ মিনিমাম কী করে হবে? আমি একটা জিতলাম, বিনয় বর্মণ একটা জিতল। এক একে ২ হল। রবি একটা জিতল, ৩ হল। হিপি একটা জিতল ৪ হল। পার্থ একটা জিতল ৫ হল। উদয়ন একটা জিতল ৬ হল। এই করে করে মনে রাখবেন আমাদের ২০০টা পেরোতে হবে। তা না হলে বিজেপি টাকা খাইয়ে কিছু গদ্দারকে আবার কিনে নেবে।’’
নাম না করলেও ‘গদ্দার’-এর তকমায় মমতা আক্রমণ করেন কোচবিহার দক্ষিণের বিদায়ী বিধায়ক মিহির গোস্বামীকে। যিনি এবার বিজেপি-তে গিয়ে মন্ত্রী তথা নাটাবাড়ির তৃণমূল প্রার্থী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধে প্রার্থী হয়েছেন। সুর চড়িয়ে মমতা বলেছেন, ‘‘যে গদ্দার এখানে ছিল পালিয়েছে এখন অন্য জায়গায়। রবি ঘোষের বিরুদ্ধে লড়াই করছে আমাদের এক গদ্দার। চিরজীবন পরিবহণের চেয়ারম্যান, উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান সব করে খেয়ে ভোটের আগে তাঁকে বিজেপি করতে হয়েছে।’’ মিহির ছিলেন উত্তরবঙ্গে মমতার অন্যতম ঘনিষ্ঠ নেতা। তাঁকেই উদ্দেশ্য করে মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘‘সে নাকি মহান নেতা। কোনওদিন ঘর থেকে বেরোয় না। একটা ফোন ধরে না। একটা কাজ পর্যন্ত করে না। রবি ঘোষের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গেছে। রবি ঘোষ তো রাত ১২টায় ফোন করলেও ফোন ধরে। সকাল ৪টেয় ফোন করলে ফোন ধরে। মানুষ বিপদে পড়লে ছুটে যায়। বিনয় যায়, হিপি যায়। তুমি কোথায় যাও? তুমি তো আমারই ফোন ধরো না। অন্য লোকের আর ফোন ধরবে কী? এত তোমার গরজ, এত তোমার অহঙ্কার। ’’