মণিরুল ইসলাম ও অনুব্রত মণ্ডল। ফাইল চিত্র
বিজেপিতে যোগদানের প্রায় দু’বছর পর, বীরভূমে পা রেখেই জেলার তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন মণিরুল ইসলাম। মঙ্গলবার অনুব্রতর গড় বোলপুরে বসে লাভপুর বিধানসভায় ৫০ হাজার ভোটের ব্যবধানে তৃণমূলকে হারানোর হুঙ্কার দিয়েছেন মণিরুল। বিজেপিতে যোগদানের পর মণিরুলকে নিয়ে ঘোরতর আপত্তি উঠেছিল বীরভূমের পদ্মশিবির থেকে। সেই ‘ফাটল’ ধরা পড়েছে এত দিন পরেও। মণিরুল যখন বোলপুরে বিজেপির দফতরে বসে তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন, তখন তাঁর পাশে দেখা যায়নি দলের কোনও নেতাকেই।
জোড়াফুল শিবিরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে মঙ্গলবার মণিরুল দাবি করেন, ‘‘আমি লাভপুরে তৃণমূল প্রার্থীকে ৫০ হাজার ভোটে হারাব। আমার নামে নানা মামলা থাকার কারণে আমি লাভপুরে যেতে পারব না। মামলা মিটলেই আমি লাভপুর যাব।’’ মণিরুল যে অনুব্রতকে নিশানা করেছেন তা তাঁর বক্তব্যেই স্পষ্ট। বীরভূমের পাথরচাপড়ি এবং তারাপীঠের উন্নয়নের কাজে দূর্নীতির অভিযোগ তোলেন তিনি। জেলার রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা, এ বারের নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন মণিরুলের ছেলে অসিফ ইসলাম। অনেকের মত, সে কারণেই এত দিন পর ফের বীরভূমের মাটিতে পা রাখলেন মণিরুল।
মণিরুলকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন অনুব্রতও। তাঁর কথায়, ‘‘প্রথম বার ওকে (মণিরুল ইসলাম) জিতিয়েছিলাম ৩ হাজার ভোটে। ২০১৬-তে জিতিয়েছিলাম ২৫ হাজার ভোটে। আর আমাকে ৫০ হাজার ভোটে হারাবে? চ্যালেঞ্জ করলাম। লাভপুরে গিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করুন মণিরুল সম্পর্কে। ওঁকে নিয়ে ওখানকার মানুষই বলবেন। তৃণমূলের ঘাড়ে পা দিয়ে অনেকই জিতেছিল। আজ দল ছাড়ল জিতেন্দ্র তিওয়ারি, উনিও তৃণমূলের ঘাড়ে পা দিয়ে জিতেছিলেন। তেমনই ওকেও (মণিরুল ইসলাম) তুলে এনে বিধায়ক করেছিলাম।’’