অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী
আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার জন্য করোনার প্রতিষেধক নিলেন অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী। এ প্রসঙ্গে আনন্দবাজার ডিজিটাল তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করায় তিনি বলেন, ‘‘১০ বছর হয়ে গেল, কোনও ছবি পরিচালনা করিনি আমি। ভেবেছিলাম রাজনীতি ছেড়ে মূল স্রোতে ফিরব। কিন্তু আসন্ন নির্বাচনের যা অবস্থা, তাতে মমতা দিদি আমাকে যেতে দিলেন না। আমিও এই ভোটযুদ্ধে যোগ দেওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করলাম।’’
অভিনেতা জানালেন, করোনার টিকা নেওয়ার পর জ্বর বা ব্যথা কিছুই হয়নি। নিজের গাড়ির চালককেও টিকা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। ভোটের প্রচারে তাঁকেও তো সঙ্গে যেতে হবে।
এ বছরের বিধানসভা নির্বাচনের সব থেকে নজরকাড়া বিষয়, রাজনৈতিক দলগুলিতে টলিউডের যোগদান। ভোট যত কাছে আসছে, ততই টলিউডের শিল্পীরা বিভিন্ন চিহ্নে নাম লেখাচ্ছেন। দলে যোগ দেওয়া বা দল বদলের হিড়িক দেখে অভিনেতা বিস্মিত! তিনি বললেন, ‘‘বাংলা ছবি আজ আর তেমন চলে না। টাকা এবং গ্ল্যামারে অভ্যস্ত আমার সহকর্মীরা এই পরিস্থিতিতে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন। দোষ নেই।’’
সোমবার বিজেপি-তে যোগ দিয়েছেন অভিনেতা শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। কিছু দিন আগেই গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন যশ দাশগুপ্ত এবং পায়েল সরকার-সহ আরও অনেক শিল্পী। চিরঞ্জিতের মতে, প্রার্থী হওয়ার শর্তে রাজনীতিতে যোগ দিচ্ছেন এঁরা। অভিনেতার কথায়, ‘‘এখানে রাজনীতির কোনও ভূমিকা নেই। শ্রাবন্তী প্রার্থী হবে বলেই আজ বিজেপি-তে।’’
চিরঞ্জিৎ মনে করছেন, ২৯৪ টা আসন ভরাতে বিজেপি-র অনেক পরিচিত মুখের প্রয়োজন। আর তাই অনেক ছোটখাটো অভিনেতা-অভিনেত্রীদেরও দলে টানা হচ্ছে। তিনি বললেন, ‘‘কেউ কেউ তো ভাবছেন, বিজেপি-তে যোগ দিলে মুম্বইতে কাজ পাওয়া সহজ হবে।’’
ইন্ডাস্ট্রির মানুষের কাছে প্রশ্ন রাখলেন চিরঞ্জিৎ, ‘‘যে দল ‘মমতা’-কে ‘মাম্তা’ বলে, ‘পথ’-কে বলে ‘পোথ’, মঞ্চে দাঁড়িয়ে পিছনের বাংলা হোর্ডিং পড়তে পারে না, তারা ‘সোনার বাংলা’ কী ভাবে তৈরি করবে! বিজেপি-র মতো সর্বভারতীয় দল কেবল বাংলাকেই কেন ‘সোনার’ রূপ দেবে? বিহার, উত্তরপ্রদেশের জন্য কি কেবল গোমূত্র থাকবে?’’
কিছু দিন আগে অভিনেতা চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী ঘোষণা করেছিলেন যে তৃণমূল ছেড়ে দেবেন। সেই সূত্রে জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে তিনি এ বারে বিজেপি-তে যোগ দিতে চলেছেন। কিন্তু আনন্দবাজার ডিজিটালের সঙ্গে কথাবার্তায় অভিনেতা সে গুঞ্জন ওড়ালেন ফুৎকারে।