মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
বিজয় হজারে ট্রফির নক-আউটে উঠল বাংলা। তবে সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে পারল না। প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল খেলতে হবে লক্ষ্মীরতন শুক্লর দলকে। ৯ জানুয়ারি হরিয়ানার বিরুদ্ধে সেই ম্যাচ খেলবেন সুদীপ ঘরামিরা।
রবিবার বাংলার ম্যাচ ছিল মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে। কিন্তু সেই ম্যাচ ৬ উইকেটে জিতে নেয় মধ্যপ্রদেশ। শতরান করেন রজত পটীদার। বাংলার অধিনায়ক সুদীপ ৯৯ রান করে আউট হয়ে যান। আবেশ খানের বলে বোল্ড হয়ে ১ রানের জন্য শতরান হাতছাড়া করেন তিনি। ৪৭ রান করেন সুদীপ চট্টোপাধ্যায়। দুই সুদীপের জুটিতেই বড় রানের ইনিংস গড়ছিল বাংলা। কিন্তু ওপেনার অভিষেক পোড়েল (৯) বা মিডল অর্ডারে সুমন্ত গুপ্ত (৩), করণ লাল (১৫), প্রদীপ্ত প্রামাণিকের (৫) মতো ক্রিকেটারেরা রান পাননি।
শেষ বেলায় ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন মহম্মদ শামি। ৩৪ বলে ৪২ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। একটি ছক্কা এবং পাঁচটি চার মারেন শামি। তাঁকে সঙ্গ দেন কৌশিক মাইতি। ২১ বলে ২০ রান করেন তিনি। তাঁদের ৬৪ রানের জুটি বাংলাকে লড়াই করার মতো রান তুলতে সাহায্য করে। শেষ পর্যন্ত যদিও হেরেই যায় বাংলা।
ব্যাট হাতে ঝড় তুললেও বল হাতে পারলেন না শামি। প্রথম বলেই ওপেনার হর্ষ গাওলির উইকেট তুলে নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তার পর ৮ ওভারে ৪০ রান দিয়ে আর কোনও উইকেট পাননি। কনিষ্ক শেঠ ৯ ওভারে ৬৮ রান দিয়ে একটি উইকেট নেন। যদিও এই দুই বোলার নিজেদের প্রথম ওভারে উইকেট নিয়ে আশা জাগিয়েছিলেন। ২ রানে ২ উইকেট চলে গিয়েছিল মধ্যপ্রদেশের। সেখান থেকে অধিনায়ক পটীদার (১৩২ রানে অপরাজিত) এবং শুভম শর্মা (৯৯) মিলে ১৮৫ রানের জুটি গড়েন। যা মধ্যপ্রদেশকে জয়ের রাস্তায় ফিরিয়ে আনে। সায়ন ঘোষ বাংলার হয়ে দু’টি উইকেট নিলেও ম্যাচ জেতাতে পারেননি।
মধ্যপ্রদেশ গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে বাংলাকে হারালেও নক-আউটের দরজা খুলতে পারেনি। তবে বাংলার কাছে সুযোগ ছিল শেষ ম্যাচ জিতে সরাসরি কোয়ার্টার ফাইনালে সুযোগ করে নেওয়ার। কিন্তু হেরে যাওয়ায় গ্রুপে দ্বিতীয় দল হয়েই রয়ে গেলেন সুদীপেরা। বাংলার গ্রুপে ২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে বরোদা। দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলা ৬ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট পেয়েছে।