এ ভাবেই হুইল চেয়ারে বসে সভা করছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
ফের নন্দীগ্রাম যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল সূত্রে খবর, আগামী ১৯ এবং ২০ মার্চ ভোটপ্রচারের জন্য নন্দীগ্রামে যেতে পারেন তিনি। গত ১০ মার্চ সন্ধ্যায় নন্দীগ্রামে পায়ে আঘাত পান মমতা। সেই ঘটনা নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক, পুলিশ সুপার তো বটেই নির্বাচন কমিশন রাজ্যের নিরাপত্তা অধিকর্তাকেও সরিয়ে দিয়েছে ওই ঘটনায়।
শুধু তাই নয়, ওই ঘটনায় কমিশন রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় মুখ্যসচিব এবং রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের কাছে। তৃণমূলও চিঠি দিয়েছে কমিশনকে। বিজেপি ও তৃণমূলের মধ্যে বাগ্যুদ্ধও চলছে। সে দিন আঘাত নিয়েই কলকাতায় ফিরে এসে এসএসকেএম হাসপাতালে ভর্তি হন মুখ্যমন্ত্রী।
বৃহস্পতিবার হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই এক ভিডিও বার্তায় মমতা জানিয়ে দেন, প্রয়োজনে হুইল চেয়ারে বসে ভোট প্রচারে যান তিনি। শুক্রবার সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরেন। রবিবার গাঁধী মুর্তির পাদদেশ থেকে হাজরা মোড় পর্যন্ত হুইল চেয়ারেই মিছিল করেন। পরে ভাষণও দেন। এর পর রাতেই চলে যান দুর্গাপুর। সোমবার সেখান থেকে পুরুলিয়ার সভায় যান। হুইল চেয়ারে বসেই দুটো জনসভা করেন তিনি। জেলা সফর সেরে কলকাতায় ফিরবেন মমতা। আগামী বুধবার কালীঘাটের বাসভবন থেকেই নির্বাচনী ইস্তেহারও প্রকাশ করার কথা তাঁর। তার পরেই নন্দীগ্রামের উদ্দেশে রওনা দেবেন তিনি। সেখানে দু’দিন থেকে প্রচার করবেন মমতা— এমনটাই জানা গিয়েছে তৃণমূল সূত্রে। ভোট প্রচারের পাশাপাশি, কর্মিসভাও করবেন মুখ্যমন্ত্রী।
তবে নেত্রীর নন্দীগ্রাম কর্মসূচি প্রসঙ্গে এখনই প্রকাশ্যে কিছুই জানানো হয়নি তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে। কারণ, কলকাতায় ফিরে আসার পর চিকিৎসকরা আবারও মুখ্যমন্ত্রীর পায়ের আঘাত পরীক্ষা করে দেখবেন। তবে রাজ্য নেতৃত্ব সূত্রের খবর, বড়সড় কোনও রদবদল না হলে ১৯-২০ তারিখে নন্দীগ্রামেই প্রচার করবেন তিনি। নন্দীগ্রামে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য নির্বাচনী এজেন্ট শেখ সুফিয়ান বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী দু’দিনের জন্য নন্দীগ্রামে আসবেন বলে আমরাও শুনেছি। তবে রাজ্য নেতৃত্ব এখনও আমাদের কিছুই জানাননি। আমরা তৈরি। মুখ্যমন্ত্রী প্রচারে এলে কোনও অসুবিধা হবে না।’’