নওশাদ সিদ্দিকি এবং আব্বাস সিদ্দিকি নিজস্ব চিত্র
দ্বিতীয় দফায় আরও সাতটি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করল ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট (আইএসএফ)। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আইএসএফ প্রকাশিত তালিকায় দেখা যায়, ভাঙড় বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হয়েছেন পীডরজাদা মহম্মদ নওশাদ সিদ্দিকি। এই নওশাদ আইএসএফের চেয়ারম্যানও বটে।
দাদা আব্বাসের হয়ে বামফ্রন্ট ও কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে জোটের আসন রফায় বড় ভুমিকা ছিল নওশাদের। এ বার সেই নওশাদই প্রার্থী হলেন ভাঙড়ে। ২০২০-র অগস্টে ভাঙড়েই আক্রান্ত হন আব্বাস। অভিযোগ ওঠে, তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লার নির্দেশেই আক্রান্ত হয়েছেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা। সেই থেকেই আব্বাস ভাঙড়কে পাখির চোখ করে লড়াই শুরু করে। এ বার সেই ভাঙড়েই ভাই নওশাদকে দাঁড় করিয়েই তৃণমূলকে জবাব দিতে চান বলেই দাবি করছে আইএসএফ-এর একাংশ। ভাঙড়ে তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন চিকিত্সক রেজাউল করিম। বিজেপি-র প্রার্থী হয়েছেন সৌমী হাতি। তবে স্থানীয়দের মতে, ভাঙড়ে প্রকৃত লড়াই হবে নওশাদ বনাম তৃণমূলের চিকিত্সক প্রার্থীর মধ্যেই।
এ ছাড়াও আব্বাসের অভিযোগের মুখে পড়া শওকতের বিরুদ্ধেও প্রার্থী দিয়েছে আইএসএফ। ক্যানিং পূর্ব আসনে তাঁদের প্রার্থী গাজি শাহাবুদ্দিন সিরাজি। ফুরফুরা শরিফ যে কেন্দ্রে, সেই জাঙ্গিপাড়ায় আব্বাসের প্রার্থী শেখ মৈনুদ্দিন। মধ্যমগ্রামে প্রার্থী বিশ্বজিৎ মাইতি। দেগঙ্গায় প্রার্থী করিম আলি। মগরাহাট পশ্চিমে মইদুল ইসলাম মোল্লা ও হাড়োয়ায় ফিরোজ মোল্লা। এর আগে আরও ২১টি কেন্দ্রে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে আইএসএফ। দলীয় নেতৃত্ব জানিয়েছেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে আরও কয়েকটি আসনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হবে।