মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আব্দুল মান্নান এবং আব্বাস সিদ্দিকি।
এ বার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাড়ায় প্রচারে যাচ্ছেন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের নেতা আব্বাস সিদ্দিকী। সপ্তম দফায় ২৬ এপ্রিল দক্ষিণ কলকাতার চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোট। সেই ভোটের প্রচারেই আব্বাসকে চাইছে কংগ্রেস। সংযুক্ত মোর্চার ‘তারকা’ প্রচারকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ফুরফুরা শরিফের এই পীরজাদার। তাঁর মেঠো বক্তৃতায় একের পর এক ভোটের প্রচার সভায় ভিড় উপচে পড়েছে বলে দাবি সংযুক্ত মোর্চার নেতাদের। তাই এ বার আব্বাসকেই মুখ্যমন্ত্রীর পাড়ার কোনও জায়গায় এনে জনসভা করাতে চায় কংগ্রেস। ভবানীপুরে সংযুক্ত মোর্চার প্রার্থী হয়েছেন যুব কংগ্রেসের সভাপতি সাদাব খান। তাঁর প্রচারেই দিদির পাড়ায় আনা হবে আব্বাসকে। বিধানসভার বিদায়ী বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান বলেছেন, ‘‘আমরা প্রচারসূচি তৈরি করছি। সেই সূচি তৈরি হয়ে গেলেই আব্বাস ভবানীপুর-সহ কলকাতার ৪টি বিধানসভা কেন্দ্রে এক দিনেই প্রচারে করতে আসবেন।’’
সূত্রের খবর, অনুমতি পেলে মুখ্যমন্ত্রীর পাড়া হরিশ চ্যাটার্জি ষ্ট্রিটের কাছাকাছি কোথাও আব্বাসকে দিয়ে জনসভা করানোর কথা ভাবছে কংগ্রেস নেতৃত্ব । যদিও, এ বার ভবানীপুর কেন্দ্র ছেড়ে নন্দীগ্রামে প্রার্থী হয়েছেন মমতা। তাতেও ভবানীপুর বিধানসভার রাজনৈতিক ‘গুরুত্ব’ কমেনি। তাই এই লড়াইয়ে ‘সম্মানজনক’ ফলাফল চাইছে কংগ্রেস। কারণ ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটে ভবানীপুর থেকে লড়াই করে ৪০,২১৯ ভোট পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে পরাজিত হয়েছিলেন কংগ্রেস নেত্রী দীপা দাসমুন্সী। তাই ভবানীপুরের তৃণমূল-বিজেপি-র দ্বিমুখী ভোটযুদ্ধকে ত্রিমুখী করাই লক্ষ্য সংযুক্ত মোর্চার নেতাদের। তাই এই কেন্দ্রে আগামী ২০-২৩ এপ্রিলের মধ্যে যে কোনও কংগ্রেস প্রার্থী হয়ে প্রচারে আসবেন আব্বাস।
তৃণমূল প্রার্থী বিদায়ী বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে আবার রাসবিহারী থেকে ভবানীপুরে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। আর বিজেপি প্রার্থী হয়েছেন অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষ। রাজনীতির কারবারিদের মতে, এই কেন্দ্রে মূল লড়াই এই দুই প্রার্থীর মধ্যেই। কিন্তু কংগ্রেস চাইছে আব্বাসকে এনে ভবানীপুর এলাকার সংযুক্ত মোর্চার কর্মীদের মধ্যে অক্সিজেনের সঞ্চার করতে। যাতে গুরুত্বপূর্ণ এই বিধানসভা কেন্দ্রে নিজেদের অস্তিত্ব জানান দেওয়া যায়। আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে পবিত্র রমজান মাস শুরু হচ্ছে।
ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস ধর্মীয় শিষ্টাচার মেনে রমজান মাসে উপবাস রাখেন। বিষয়টি মাথায় রেখেই কর্মসূচি তৈরি করেছেন সংযুক্ত মোর্চার নেতারা। কারণ ভবানীপুর ছাড়াও ওই দিন চৌরঙ্গী, কলকাতা বন্দর ও এন্টালি বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থীদের হয়ে প্রচার করবেন আব্বাস।