Narendra Modi

Narendra Modi Rally: দিদির পায়ে চোট কষ্ট দিয়েছে আমাকে, খোঁচা দিয়েও সুস্থতা চাইলেন মোদী

‘‘দিদি বলেন খেলা হবে, বিজেপি বলে হাসপাতাল হবে, স্কুল হবে। খেলা শেষ হবে, উন্নয়ন আরম্ভ হবে। এ বার খেলা শেষ হবে’’, বললেন মোদী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পুরুলিয়া শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২১ ১১:৪৪
Share:

ফাইল চিত্র

পুরুলিয়ার ভাঙড়ায় নবকুঞ্জের মাঠে নির্বাচনী জনসভায় খেলা হবে-এর পাল্টা স্লোগান তুললেন নরেন্দ্র মোদী।

Advertisement

এই সভা নিয়ে তিনি বৃহস্পতিবার রাতে টুইট করে বলেছেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে পরিবর্তনের আশা জেগেছে’। ভোটের মুখে রাজ্যে পরপর কর্মসূচি রয়েছে প্রধানমন্ত্রীর। ২০ মার্চ খড়্গপুর, ২১ মার্চ বাঁকুড়া, ২৪ মার্চ কাঁথিতে সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী।

• ১২.৪৫ ২ মে, দিদি যাচ্ছে। আসল পরিবর্তন আসছে। এ বার ভয় নয়, শুধু জয়। পশ্চিমবাংলার মানুষের জয়। এই সময় বাংলাকে কুশাসন থেকে মুক্ত করার সময়। আদর্শ ও নীতির জন্য সব শক্তি অর্পণ করার সময়। আমরা লক্ষ্যে প্রায় পৌঁছে গিয়েছি।

Advertisement

• ১২.৪০ পশ্চিমবঙ্গের পুলিশকে অনুরোধ, আপনারা গণতন্ত্রকে সবার উপরে রাখুন। বিজেপি কর্মকর্তাদের বলছি, ২ মে বিজেপি সরকার তৈরি হওয়ার পর, সবাইকে সুবিচার দেওয়া হবে। স্থাপিত হবে আইনের শাসন। অপরাধীদের আইন জেলে পাঠাবে। আমাদের জন্য জনতাই ঈশ্বর। ১৩০ কোটি দেশবাসী আমাদের আত্মা। ‘জীবেই শিব’, রামকৃষ্ণদেবের বার্তাই আমাদের বার্তা। আমরা আবার সোনার বাংলা তৈরি করব। সেই সোনার বাংলা হবে, যে বাংলা আত্মনির্ভর হবে। যে বাংলায় কৃষক মজুররা সন্মানের জীবন বাঁচবেন, যেখানে মা, বোনেরা সুরক্ষা পাবেন, বেকাররা চাকরি পাবেন, যেখানে তোলাবাজি, কাটমানি, সিন্ডিকেটের কোনও স্থান থাকবে না, অপরাধীদের স্থান হবে জেলে। সোনার বাংলার জন্য আর অপেক্ষা করতে পারছে না।

• ১২.৩০ বিজেপি সরকার তৈরি হলে, রাজ্য সরকারের কর্মীদের সমস্ত অসুবিধা দূর করা হবে। পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে, টিএমসি, অর্থাৎ ট্রান্সফার মাই কমিশন। এখানে কেন আয়ুষ্মাণ ভারত কার্যকর হয়নি, কেন কৃষকদের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হয়নি, সব কমিশনের কারণে। দিদির চালচোরের খেলা চলতে থাকুক, কিন্তু আমরা চাইলেই খেলা শেষ। চুরির খেলা চলবে না, চলবে না। কলকাতায় সিন্ডিকেট আছে, দুর্নীতি আছে, কিন্তু তার সমাধান নেই। বিজেপি কর্মীদের মৃত্যুর পরেও পরিবারকে হামলা করা হয়েছে। কালই উত্তর ২৪ পরগনায় বিভিন্ন জায়গায় বোমাবাজি হয়েছে। এই হিংসার পরিবেশ, মাফিয়া রাজ, আর চলবে না।

• ১২.২৫ আমপানের সময়ও দুর্নীতি করেছে তৃণমূল। আদিবাসী উন্নয়নে কোনও কাজ করেনি তৃণমূল। আদিবাসী উন্নয়নে আলাদা বাজেট তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ৩৬ লাখের বেশি আদিবাসী মানুষ উজ্জ্বলা যোজনায় সুবিধা পেয়েছেন। এ বারেও বাজেটে আদিবাসীদের জন্য অনেক কিছু দেওয়া হয়েছে। ডবল ইঞ্জিনের সরকার তৈরির পর কেন্দ্রের সব প্রকল্প আদিবাসীরা পাবেন। আদিবাসী শিশুদের শিক্ষার জন্য একলব্য স্কুল তৈরি হচ্ছে দেশজুড়ে। আদিবাসী বীরপুরুষদের যাতে মনে রাখে পরের প্রজন্ম, তার জন্য সংগ্রহশালা তৈরি হবে। আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য যা করার, তা করবে কেন্দ্রীয় সরকার। রাজ্য সরকারের চুক্তিভিক্তিক কর্মীদের কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

• ১২.২৫ বাংলায় তোষণের রাজনীতি চলছে। দীর্ঘদিন ধরে অনুুপ্রবেশ নিয়ে তোষণের রাজনীতি চালিয়েছেন মমতা। লোকসভা তৃণমূল ‘হাফ’, এ বার পুরো সাফ। আমাদের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ভারতের একজন কন্যা। সেই জন্য যখন দিদির চোট লাগে, তখন আমারও কষ্ট হয়েছিল। আমি ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, আপনি শীঘ্রই সুস্থ হয়ে উঠুন। কাটামানি, কমিশন আর তোলবাজির জন্য দলিত আদিবাসী, দরিদ্র মানুষকে সমস্যার মুখে পড়তে হয়েছে। কেন্দ্রের চাল সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছয় না। দিদির তোলাবাজরা সেই চালেও দুর্নীতি করেছে।

• ১২.২০ দিদি বলেন খেলা হবে, বিজেপি বলে হাসপাতাল হবে, স্কুল হবে। খেলা শেষ হবে, উন্নয়ন আরম্ভ হবে। ১০ বছর খেলেছেন দিদি, এ বার খেলা শেষ হবে। এ বার বাংলার মানুষ জবাব দেবে। ১০ বছরেরে তুষ্টিকরণের রাজনীতি করার পর হঠাৎ বদলে গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এটা হৃদয় পরিবর্তন নয়, পরাজয়ের ভয়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেমন কিছু খেলতে থাকুন, কিন্তু বাংলার মানুষের স্মৃতি শক্তিশালী। বাটলা হাউজ মামলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বভাব কেমন ছিল, সেই কথা মনে করিয়ে দিলেন মোদী।

• ১২.১২ আজ প্রতিটি বাঙালি বলছেন, অত্যাচার অনেক করেছো দিদি, ভয় দেখানোই তোমার অস্ত্র, জাগবে এ বার বাংলার মানুষ, করবে তোমায় পরাস্ত। আপনাদের উৎসাহই বলে দিচ্ছে, তৃণমূলের পরাজয় নিশ্চিত। কাটামানি, তোলাবাজদের পরাজয় নিশ্চিত। এ বার তৃণমূলের হাতে গোনা দিন রয়েছে। সাধারণ মানুষের উন্নয়নের প্রশ্ন যখন আসে, তখন খেলা হয় না। দিদি বলেন, খেলা হবে, বিজেপি বলে, চাকরি হবে, বিকাশ হবে, শিক্ষা হবে। দিদি বলেন খেলা হবে, বিজেপি বলে মহিলাদের উত্থান হবে, যুবশক্তির বিকাশ হবে।

• ১২.১০ পুরুলিয়ার সঙ্গে দিনের পর দিন অন্যায় হয়েছে। আমি দিল্লিতে থেকেও আপনাদের সমস্যার কথা বুঝতে পারি। মা-মাটি-মানুষের সরকার আপনাদের অধিকার কেড়ে নিয়ে অন্য কাউকে দিয়ে দিয়েছে। দিদির যদি দলিত, আদিবাসীদের প্রতি ভালবাসা থাকত, তাহলে এমন করতে পারতেন না। মাওবাদীদের নতুন পথ খুঁজে দিয়েছে এই সরকার, তৃণমূলের মাধ্যমে। সবাই জানে, কয়লা মাফিয়া, বালি মাফিয়াদের আশ্রয় দিয়েছে কারা। নিজের ক্ষমতা দখলের জন্য মাওবাদী হিংসকে ইন্ধন দিয়েছে রাজ্য সরকার।

• ১২.০৮ পুরুলিয়াকে রেল ও রাস্তায় উন্নত যোগাযোগের মাধ্যমে আরও উন্নত করা হবে। ২ মে-র পরে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার তৈরি হওয়ার পর পুরুলিয়া-সহ এই এলাকায় এমন ব্যবস্থা করা হবে, যাতে কাউকে চলে যেতে না হয়। এখানে কৃষি নির্ভর ক্ষেত্রকে উন্নত করা হবে। দলিত, আদিবাসীদেরও রোজগারের উপায় খুঁজে বের করবে প্রশাসন। এখানকার ছৌ শিল্পী, হস্তশিল্পীদের উপার্জন ও সন্মানের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।

• ১২.০৭ এখানে ডবল ইঞ্জিন সরকার তৈরি হলে সব সমস্যার সমাধান হবে। পুরুলিয়ায় রয়েছে পর্যটন শিল্প বিকাশের সম্ভাবনা, হস্তশিল্পের বিকাশের সম্ভাবনা। সেগুলিকেও গুরুত্ব দেওয়া হবে। যেখানে যেখানে জলসঙ্কট ছিল, সেখানে বিজেপি-র সরকার সুযোগ পাওয়ার পরেই সব সমস্যা মিটিয়েছে। সেখানে বিভিন্ন ধরনের ফসল হচ্ছে, কারণ জল পৌঁছে গিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় হলে সব জায়গায় সেই কাজ করবে বিজেপি। পুরুলিয়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় বিপুল উন্নয়নের সম্ভাবনা রয়েছে।

• ১২.০৫ পুরুলিয়ায় জল সরবরাহ প্রকল্প আট বছর হল পড়ে আছে। তৃণমূল শুধু ভেদাভেদের রাজনীতি করছে। পুরুলিয়ার জল সঙ্কট অনেক বড় সমস্যা। বছরের পর বছর ধরে একটা সেতুও তৈরি করতে পারল না তৃণমূল। আর এখন বলছে উন্নয়নের কথা। সেই জন্যই জঙ্গলমহলের মানুষদের বিশ্বাস দিতে এসেছি। পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি সরকার তৈরি হলে আপনাদের সব সমস্যা গুরুত্ব দিয়ে দূর করা হবে।

• ১২.০০ রাঙামাটির দেশে পা রেখে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করছি। অতুলচন্দ্র ঘোষ, লাবণ্যভা ঘোষের কর্মভূমিকে প্রণাম। সিধু কানহু, রঘুনাথ মুর্মুকে প্রণাম করি। এই ভূমিতে অযোধ্যা পর্বত আছে, সীতাকুণ্ড আছে, অযোধ্যা নামে গ্রাম পঞ্চায়েতও আছে। একদিন রাম-সীতার তেষ্টা মিটিয়েছিলেন এখানে, আর এখন পুরুলিয়াতে জলের কষ্ট। এখানে চাষ করার জলটুকুও পাওয়া যায় না। পানীয় জল পেতে অনেক দূর যেতে হয়। আগে বাম সরকার, পরে তৃণমূল সরকার এলাকার উন্নয়ন করেনি। সেচের কাজ যতটা হওয়ার ছিল, ততটা হয়নি কোনও আমলেই। পশু পালনের কষ্টও আমি জানি।

• ১১.৫৯ ভাষণ শুরু করলেন নরেন্দ্র মোদী।

১১.৫১ মঞ্চে উঠলেন মোদী। ‘শহিদ’ পরিবারের সকল সদস্যকে উত্তরীয় পরিয়ে শ্রদ্ধা মোদীর।

১১. ৪১ পুরুলিয়া পৌঁছে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

১১. ২৫ ব্রিগেডের পর প্রথম রাজ্যে আসছেন প্রধানমন্ত্রী। স্বাভাবিকভাবে সকলের নজর রয়েছে এই সভার দিকে। বক্তব্য রাখছেন বিজেপি নেতা রাজু বন্দ্যোপাধ্যায়।
• ১১. ২০ গাড়িতে সভাস্থলে পৌঁছে গেলেন নরেন্দ্র মোদী।

• ১০.৪০ অন্ডাল বিমানবন্দরে নামলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement