ফাইল ছবি
মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথম সভা করেন পারা বিধানসভা কেন্দ্রের সগড়কা মাঠে। সেখান থেকে বিজেপি-কে তোপ দাগেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যেই কাশীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের এস বি গ্রাউন্ডে হাজির হলেন মমতা।
মমতা যা বললেন
২.০৮ রাজ্যের প্রত্যেকটি সীমানা বন্ধ করতে হবে নির্বাচনের সময়। না হলে ঝাড়খণ্ড থেকে লোক ঢুকবে। আমি জানি, অযোধ্যা সীমান্ত বন্ধ করা হয়নি। শান্তিপূর্ণ ও অবাধ নির্বাচন হলে বিজেপি ডুগডুগি বাজাবে।
২.০৬ নিজের ভোট নিজেকে রক্ষা করতে হবে। বিজেপি-র দেওয়া খাবার খাবেন না। ওদের সঙ্গে অনেক এজেন্সি আছে। কেন এই পাঁচ রাজ্যে নির্বাচন সরকারের আওতায় থাকবে না। বিনা যুদ্ধে এক ইঞ্চি জমি ছাড়ব না। আমাকে অনেক মেরেছে। এ বার আমার পায়ে মেরে ভেবেছিল আমাকে আটকে দেওয়া যাবে। কিন্তু আমি মায়েদের পায়ে হাঁটব। ওই গুণ্ডারা এলেই বের করে দেবেন বাড়ি থেকে। বাইরের থেকে লোক এলে পুলিশকে খবর দিন। নির্বাচনের আগের দিন লোক পাঠিয়ে দেবে।
২.০১ বহিরাগত গুণ্ডাদের দিয়ে বাংলাকে বিজেপি দখল করতে চায়। ওদের হাতে বাংলা দেবেন না। সবাইকে তাড়িয়ে দেবে। ঝাড়খণ্ডে আদিবাসী মানুষদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। বিজেপি-কে ভোট দেওয়ার বদলে টাকা দিচ্ছে বিজেপি। পিএম কেয়ার্সের টাকা কোথায়? রেল বিক্রি করছে, টাকা কোথায়? সব মিথ্যে কথা ভাঁওতা দেয়। কুৎসা করে। কেরোসিন দিল্লি দিচ্ছে না।গ্যাস চাই বিনা পয়সায়। বলুন তোমরা আমাদের আর কত ঠকাবে? মিথ্যা স্বপ্ন দেখাবে না।
১.৫৫ আরও হোম ট্যুরিজম তৈরি হবে। এখানেও পর্যটন শিল্প ঢেলে সাজা হবে। বছরে ৪ মাস দুয়ারে সরকার হবে। সেখানে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড তৈরি করতে পারবেন। তফশিলি আদিবাসীদের ৬০ বছর বয়স হলেই ভাতা। লোকপ্রসার শিল্পীদের ভাতা। বিধবাদের ভাতা দেওয়া হবে।
১.৫৩ মণ্ডল কমিশনের সবাইকে ওবিসি-তে তালিকাভুক্ত করা হবে আগামী দিনে। কমিটি করবে রাজ্য সরকার। আদিবাসীদের জমি কাড়া চলবে না। ৫ লক্ষ ছেলে মেয়েদের চাকরি হবে। ছৌ গিয়েছিল প্যারিসে, তাঁরা প্রথম হয়ে এসেছে। পলাশ ফুলে আবির তৈরির কারখানা হতে পারে, রং তৈরির কারখানা হতে পারে। অযোধ্যা পাহাড়ে চারিদিকে রাস্তা হয়েছে। ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া নিয়ে তৈরি হবে সার্কিট।
১.৫৩ বাবা-মা চিন্তা করবে না। চিন্তাটা আমার উপর ছেড়ে দিন। আগামী দিন পড়ুয়াদের দেওয়া হবে ব্যাঙ্কের ক্রেডিট কার্ড। ১০ লক্ষ টাকা ঋণ। পুরুলিয়ার ভাইবোনেরা সারা পৃথিবীতে পড়াশোনা করে নিজের এলাকায় ফিরে আসবে। ছেলেমেয়েরা ভাল করে পড়াশোনা করুক, মা বাবাকে চাপ দিতে হবে না। শিক্ষকের সংখ্যা দ্বিগুণ করা হবে, নার্সের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে।
১.৫১ মে মাস থেকে সব মহিলাদের ৫০০ টাকা দেব, কৃষকদের একর প্রতি ৬ হাজার টাকা দেওয়া হয়। কৃষক মারা গেলে ২ লক্ষ টাকা। এ বার সরকার এলে এক একর জমি প্রতি টাকা বাড়িয়ে ১০ হাজার করা হবে। পড়ুয়াদের জন্য ব্লকে ব্লকে ইংরাজি মাধ্যম মডেল স্কুল। অলিচিকও পরবে, ইংরাজিও পড়বে পড়ুয়ারা। বিজেপি দাঙ্গা পুজো করে, বিজেপি পুজো হবে না।
১.৪৯ পুরুলিয়ায় টিলা নিয়ে সমস্যা হয়েছিল, আমি তাই বলেছি, আদিবাসীদের মতামতের বিরুদ্ধে কিছু করা হবে না। লকডাউনের সময় পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য সব ব্যবস্থা করেছি। হাতে টাকা দিয়েছি, খাবার পৌঁছে দিয়েছি। পড়ুয়াদের স্মার্টফোন ও ট্যাবের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ বার আমাদের সরকার জিতলে বিনা পয়সায় রেশন দেওয়া হবে দরজায় দরজায়, দোকানে যেতে হবে না।
১.৪৪ ২৫ হাজার হেক্টর জমিতে মাটি সৃষ্টি প্রকল্প হবে। জলস্বপ্ন প্রকল্পের মাধ্যমে পানীয় জল ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া হবে। আগামী দিনে ১০০ শতাংশ মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে। রঘুনাথপুরে তৈরি হচ্ছে জঙ্গলমহল সুন্দরী। ৭২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হচ্ছে। কয়েল লক্ষ ছেলেমেয়ের চাকরি হবে। বাইরে যাঁরা কাজ করতে গিয়েছেন, তাঁদের নিয়ে আসুন, এখানে অনেক কাজের সুযোগ তৈরি হচ্ছে। সবাইকে ফিরিয়ে আনুন। এখানেই কাজ পাবেন সবাই।
১.৪২ অনেক মিথ্যে কথা বলেছে, আমাদের হারিয়ে সাংসদ জিতিয়ে নিয়ে গেল, সেই সাংসদ একদিনও এসেছে? কাশীপুরের মানুষের খবর নেয় না। সব কলকারখানা বন্ধ করে দিয়েছে। রেলের বেসরকারিকরণ করার চেষ্টা করছে। আমরা করতে দেব না। আন্দোলন করব। পুরুলিয়া ৫০ শতাংশ মানুষের কাছে আগামী এক বছরের মধ্যে জল পৌঁছে দেব।
১.৩৬ কাশীপুর বিধানসভা এলাকার সভায় মঞ্চে উপস্থিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।