মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা ভোটের গণনার পালা তখন শেষ পর্যায়ে। বাংলাদেশের একটি প্রথম সারির দৈনিকের পোর্টালের পাতায় ভেসে উঠল— ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ‘অব কি বার, দোশো পার’ স্লোগান বুমেরাং হয়ে গেল। অন্য একটি জনপ্রিয় ওয়েবসাইট তখন তথ্য-পরিসংখ্যান দিয়ে জানাচ্ছে, ‘রাজধানী কলকাতা-সহ পশ্চিমবঙ্গের ৬টি জেলায় খাতা খুলতে পারেনি বিশ্বের বৃহত্তম দল বিজেপি’।
ওপার বাংলায় সংবাদমাধ্যম বরাবরই ভারতের খবরকে বাড়তি গুরুত্ব দেয়। ২০১৮ সালে ত্রিপুরার বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি-র বিপুল জয়ের পর উদ্বেগের সুর ধরা পড়েছিল বাংলাদেশের নানা টিভি চ্যানেল, সংবাদপত্র, ওয়েব পোর্টালে। সঙ্গত কারণেই এ বারের বিধানসভা ভোটের আগে সেই ‘উদ্বেগ’ ছিল অনেকটাই বেশি। পশ্চিমবঙ্গে ভোট-পর্বের মাঝে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বাংলাদেশ সফর নিয়েও সে দেশের সংবাদমাধ্যমের ‘তৎপরতা’ ছিল চোখে পড়ার মতো। এই পরিস্থিতিতে ২০০ আসন পার করে দিদির জয়ের পরে ‘চাপমুক্তি’র ছাপ পড়েছে প্রকাশিত নানা খবরে।
বিজেপি-র পরাজয় এবং তৃণমূলের জয়ের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় বাম এবং কংগ্রেসের নিশ্চিহ্ন হয়ে যাওয়ার খবরও সোমবার বাংলাদেশের নানা সংবাদপত্রে এসেছে। নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে মমতার পরাজয় এবং তৃণমূলের পুনর্গণনার দাবির কথাও ছাপা হয়েছে গুরুত্ব দিয়ে। সেই প্রসঙ্গে এসেছে, তৃণমূলের বিরুদ্ধে শুভেন্দুর উপর হামলার অভিযোগের কথাও।
প্রথম দল গড়েই পিরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির একটি বিধানসভা আসনে জেতার কথা গুরুত্ব দিয়ে লিখেছে সে দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ঘনিষ্ঠ একটি সংবাদপত্র। তবে এরই মধ্যে বাংলাদেশের ‘বাম মনস্ক’ একটি সংবাদপত্রে সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, তৃণমূলের ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তনের ফলে ভারতে ধর্মনিরপেক্ষতা রক্ষা পেলেও ১০ বছর ধরে ঝুলে থাকা তিস্তা জলবণ্টন চুক্তি ফের হিমঘরে যাওয়ার আশঙ্কা রয়ে গেল।