শুভেন্দু অধিকারী।
তিনি নিজে নন্দীগ্রামে রাজ্য রাজনীতির জনপ্রিয়তম নেতাকে হারিয়েছেন। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুরে ‘গড়’ রক্ষার লড়াইয়ে হেরে গেলেন শুভেন্দু অধিকারী। নন্দীগ্রামে হেরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করে দিলেন, অধিকারীদের নয় পূর্ব মেদিনীপুর আসলে তৃণমূলেরই।
ভোটের ফল বলছে, পূর্ব মেদিনীপুর জেলার ১৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ১০টিতে। বিজেপি-র ঝুলিতে এসেছে ৭টি। শুভেন্দু দু’বার (২০০৯ এবং ২০১৪) যে লোকসভা কেন্দ্র থেকে জিতেছিলেন, সেই তমলুক লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৩টি (নন্দীগ্রাম, ময়না এবং হলদিয়া) বিজেপি জিতেছে। তমলুকের বর্তমান সাংসদ শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু।
অন্যদিকে, শুভেন্দুর বাবা শিশির অধিকারীর লোকসভা কেন্দ্র কাঁথির অন্তর্গত ৭টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ৪টি তে জিতেছে বিজেপি— কাঁথি-উত্তর, কাঁথি-দক্ষিণ, ভগবানপুর এবং খেজুরি। এ ছাড়া মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এগরা এবং ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পাঁশকুড়া-পশ্চিম কেন্দ্রেও জিতেছে তৃণমূল। যদিও ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের বিধানসভা ভিত্তিক হিসেব বলছে, অধিকারীদের সাহায্য ছাড়াই এগরা এবং পাঁশকুড়া-পশ্চিমে বিজেপি এগিয়ে ছিল।
২০১১-র বিধানসভা ভোটের পূর্ব মেদিনীপুরের সবক’টি আসনেই জিতেছিল তৃণমূল। কিন্তু ২০১৬ সালের বিধানসভা ভোটেই অধিকারীদের প্রভাব কমার ইঙ্গিত মিলেছিল। জেলার ৩টি আসনে জিতেছিল বামেরা। এ বার সেই ফাটল অনেকটাই চওড়া হয়েছে বলে জানিয়ে দিল ভোটের ফল।