নিজস্ব চিত্র
তৃতীয় দফায় আরও সতর্ক নির্বাচন কমিশন। আগামী ৬ এপ্রিল রাজ্যের তিন জেলায় ৩১ আসনে মোট ৬১৮ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। প্রতিটি বুথেই থাকবে আধা সেনা। রাজ্যে এই মুহূর্তে ৮০০ কোম্পানি বাহিনী রয়েছে। ৮ এপ্রিল আরও ২০০ কোম্পানি বাহিনী আসছে বলে কমিশন সূত্রে খবর।
তৃতীয় দফার ভোট শান্তিপূর্ণ করতে, ‘ওয়েব কাস্টিং’-এ উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে। ইন্টারনেট বিভ্রাট ছাড়াও নানা কারণে অনলাইন মাধ্যমে বুথের ভোট পরিস্থিতি দেখতে সমস্যা হচ্ছে বলে অভিযাগ উঠেছে। এ সব বিষয়ে জেলাপ্রশাসনের সঙ্গে ইতিমধ্যে আলোচনাও করেছেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক (সিইও) আরিজ আফতাব।
আজ, শুক্রবার সিইও দফতরে বিএসএফ-এর ডিজি তথা নোডাল অফিসার এ কে সিংহের সঙ্গে নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনাও হয়েছে। অভিযোগ উঠেছিল, কেন্দ্রীয় বাহিনী কোনও কোনও এলাকায় তৎপরতা দেখাচ্ছে। কোথাও কোথাও বুথের মধ্যে ভোটারদের পরিচয়পত্র দেখতে চাইছেন তাঁরা। তৃতীয় দফার ভোটে যাতে এই ধরনের অভিযোগ না ওঠে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে বিএসএফ কর্তাকে।
কমিশনের একটি সূত্রের খবর, বয়াল-এর ৭ নম্বর বুথে নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দীর্ঘক্ষণ থাকা নিয়েও কমিশন একটি রিপোর্ট দিল্লিতে পাঠিয়েছে। এর পাশাপাশি ভোটের দিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফর নিয়েও বিরোধীরা অভিযোগ করছেন। খোদ তৃণমূল সুপ্রিমোও এ নিয়ে সরব হন। এ বিষয়েটিও দিল্লির কমিশন কর্তাদের নজরে আনা হয়েছে।
তৃতীয় দফার ভোটে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বারুইপুর পুলিশ জেলায় ১৩০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে, ডায়মন্ডহারবার পুলিশ জেলায় ১১৩ কোম্পানি, সুন্দরবনে ৬৪ কোম্পানি মোতায়েন থাকবে। হুগলি জেলায় ১৬৭ কোম্পানি, হাওড়া গ্রামীণে ১৩৩ কোম্পানি, হাওড়া কমিশনারেটে ১১ কোম্পানি মোতায়েন করা হচ্ছে।