কমিশন সূত্রে খবর, ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বয়ালের ৭ নম্বর বুথে সাময়িক সময়ের জন্য ভোটদানের হার কমেছিল। তবে ওই বুথে ভোট হয়েছে। নিজস্ব চিত্র
নন্দীগ্রামের বয়ালের ঘটনা নিয়ে রিপোর্ট গেল দিল্লির নির্বাচন কমিশনে। বয়ালের ৭ নম্বর বুথে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘণ্টা দুয়েক ছিলেন। বুথের বাইরে লোক জড়ো হওয়ায় উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। সব নিয়েই দিল্লির নির্বাচন কমিশন এ রাজ্যের বিশেষ পর্যবেক্ষক অজয় নায়েক ও বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবের কাছে শুক্রবার সন্ধ্যা ৬ টার মধ্যে রিপোর্ট তলব করে। শুক্রবার সেই রিপোর্টই পৌঁছে গেল দিল্লিতে।
কেন মুখ্যমন্ত্রীকে বয়ালের বুথে ছুটে যেতে হয়েছিল, তাঁর নিরাপত্তায় কোনও খামতি ছিল কি না, ১৪৪ ধারা জারি হওয়া সত্ত্বেও কী ভাবে এত লোক বুথের বাইরে জড়ো হল, পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী কী ভাবে পরিস্থিতি সামলেছে— তা নিয়েই সবিস্তার রিপোর্ট পাঠানো হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, বয়ালের ৭ নম্বর বুথে সাময়িক সময়ের জন্য ভোটদানের হার কমেছিল। তবে ওই বুথে ভোট হয়েছে। একটা সময় প্রচুর মানুষ বুথে বাইরে ভিড় করেছিলেন। কিন্তু পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর তৎপরতায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বুথ থেকে নিরাপদে নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে বার করে এনেছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।
ওই রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, বুথে বসেই কমিশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত অধিকারিক হেমেন দাস এবং আশুতোষ রায়ের সঙ্গে কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী ওই বুথে ঘণ্টা দুয়েক থাকলেও ভোট প্রক্রিয়ায় তার আলাদা করে কোনও প্রভাব পড়েনি। এ ছাড়া নন্দীগ্রামে দায়িত্বপ্রাপ্ত আইপিএস নগেন্দ্র ত্রিপাঠীর ভূমিকারও উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে। এমনটাই জানা গিয়েছে কমিশন সূত্রে। দ্বিতীয় দফার ভোট নিয়ে একটি টুইট করেছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনী ও রাজ্য পুলিশের প্রশংসা করে বলেছেন, আগামী দফার ভোটগুলিতেও যেন এই ধারা বজায় থাকে। মানুষ যেন শান্তিতে ভোট দিতে পারেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বয়ালে মমতা পৌঁছনোর আগে-পরে কেন অশান্তি হল, দিল্লি থেকে ফোনে সেই বিষয়ে খবর নিয়েছিলেন উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছিল জেলার পর্যবেক্ষকদের। তাঁরা পৌঁছনোর আগেই মুখ্যমন্ত্রী বেরিয়ে যান। মমতা কমিশনের কাছে লিখিত অভিযোগ জানান ওই বুথ নিয়ে। শেষে বিশেষ পর্যবেক্ষকদের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠায় কমিশন। সেই রিপোর্টই পাঠানো হয়েছে বলে কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে।