বাঁ দিকে) ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা। সতপাল ব্রহ্মচারী (ডান দিকে)। — ফাইল চিত্র।
উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার থেকে হরিয়ানার সোনেপতে এনে তাঁকে প্রার্থী করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ভূপেন্দ্র সিংহ হুডা। কংগ্রেস হাইকমান্ড হরিয়ানার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর পরামর্শ মেনে বিজেপির হাত থেকে ওই আসন ছিনিয়ে নিতে ভরসা করেছে আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্ব সতপাল ব্রহ্মচারীর উপর। আর ইতিমধ্যেই ‘কংগ্রেসের যোগী’ হিসাবে পরিচিতি পেয়ে গিয়েছেন তিনি।
২০০৩ সালে উত্তরাখণ্ডে হড়পা বানের কবলে পড়েছিল হুডার গাড়ি। পিলি নদীর আচমকা জলপ্রবাহে ভেসে যাওয়া প্রবীণ কংগ্রেস নেতাকে উদ্ধার করেছিলেন সে রাজ্যের বাসিন্দা সতপাল। জল্পনা, এ বার প্রাণরক্ষার প্রতিদান দিয়েছেন হুডা। সোনিপত লোকসভায় কয়েকটি আশ্রম রয়েছে সতপালের। সেই সূত্রে পরিচিতিও রয়েছে।
হুডার সঙ্গে যোগাযোগের সুবাদেই কংগ্রেস রাজনীতিতে পা রেখেছিলেন সতপাল। ২০০৩-এর শেষপর্বে হরিদ্বারের মেয়র নির্বাচনেও জিতেছিলেন। কিন্তু ২০১২ এবং ২০২২ সালে উত্তরাখণ্ডের বিধানসভা ভোটে উত্তরাখণ্ডের ওই তীর্থক্ষেত্র থেকে প্রার্থী হলেও জিততে পারেননি। তবে ধারাবাহিক ভাবে সাংগঠনিক ক্রিয়াকলাপে জড়়িত থাকায় গত বছর হরিদ্বার শহর কংগ্রেসের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
ভোটের পাটিগণিত বলছে সোনেপতেও সতপাল কঠিন লড়াইয়ের মুখে। জাঠ অধ্যুষিত ওই কেন্দ্র ২০১৯ সালে কংগ্রেসের জাঠ নেতা হুডা দেড় লক্ষেরও বেশি ভোটে হেরেছিলেন তাঁর বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বী রমেশচন্দ্র কৌশিকের কাছে। ২০১৪ সালেও ওই আসনে জিতেছিলেন কৌশিক। এ বার তাঁকে টিকিট দেয়নি বিজেপি। পরিবর্তে প্রার্থী করা হয়েছে মোহনলাল বাদোলিকে। সতপালের মতোই তিনিও ব্রাহ্মণ। অন্য দিকে, প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী দুষ্মন্ত চৌটালার জেজেপি এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমপ্রকাশ চৌটালার আইএনএলডি ওই আসনে জাঠ প্রার্থী দিয়েছে।