বরুণ গান্ধী। — ফাইল চিত্র।
মা মেনকা গান্ধীকে সুলতানপুর আবার টিকিট দিলেও লোকসভা ভোটে বিজেপি প্রার্থী করেনি তাঁর পুত্র তথা পিলিভিটের বিদায়ী সাংসদ বরুণ গান্ধীকে। এই পরিস্থিতিতে তিনি সমাজবাদী পার্টি (এসপি)-র সমর্থনে নির্দল হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারেন বলে জল্পনা দানা বেঁধেছে উত্তরপ্রদেশ রাজনীতিতে। কিন্তু গোল বেধেছে আসন নিয়ে।
এসপির প্রধান অখিলেশ যাদব ইতিমধ্যেই পিলিভিটের প্রার্থী হিসাবে উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী ভাগবত শরণ গাঙ্গোয়ারের নাম ঘোষণা করেছেন। এই পরিস্থিতিতে অদূরের আঁওলা লোকসভা কেন্দ্রে বরুণের প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একটি অংশ। ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে ওই আসনে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে জয়ী হয়েছিলেন মেনকা।
এ ছাড়া মেনকা সুলতানপুরে না দাঁড়িয়ে ওই আসনটি বিরোধী জোটের প্রার্থী বরুণকে ছেড়ে দিতে পারেন বলেও আলোচনা চলছে রাজনীতির কারবারিদের মধ্যে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের লোকসভা ভোটে পিলিভিট কেন্দ্র থেকে প্রথম বার বিজেপির টিকিটে লড়ে সাংসদ হয়েছিলেন বরুণ। ২০১৪-তে মা মেনকাকে পিলিভিট ছেড়ে তিনি সুলতানপুরে প্রার্থী হন এবং জেতেন।
২০১৯-এর ভোটে বরুণ পিলিভিটে এবং মেনকা সুলতানপুর থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন। রবিবার পঞ্চম দফায় ১১১ আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিজেপি। সুলতানপুরে মেনকা আবার টিকিট পেলেও পিলিভিটে ‘পদ্ম’ প্রতীক পেয়েছেন প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা তথা প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের জমানার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতিন প্রসাদ।
বরুণের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র উদ্ধৃত করে প্রকাশিত খবরে দাবি, তিনি চান নির্দল হিসেবে অমেঠী থেকে লড়তে। এ ক্ষেত্রে কংগ্রেস এবং এসপির সমর্থন চান তিনি। সে ক্ষেত্রে অমেঠী কেন্দ্রে স্মৃতি ইরানির সঙ্গে সরাসরি বরুণের লড়াইয়ের সম্ভাবনা। কিন্তু এসপি ইতিমধ্যেই গান্ধী পরিবারের একদা ‘গড়’ অমেঠী কংগ্রেসের জন্য ছেড়ে দিয়েছে। কিন্তু কংগ্রেস আসনটি তাঁকে ছাড়বে কি না, তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।