(বাঁ দিক থেকে) ডিকে শিবকুমার এবং নাজমা নাজির। ছবি: এক্স হ্যান্ডল থেকে নেওয়া।
বিজেপির সহযোগী হওয়া নিয়ে মতবিরোধ প্রকাশ্যে এসেছিল আগেই। কর্নাটকে এনডিএ জোটের আসনরফা চূড়ান্ত হওয়ায় প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়া এবং তাঁর পুত্র তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামীর দল জনতা দল-সেকুলার (জেডিএস) ভাঙনের মুখে এসে দাঁড়াল।
জেডিএসের মহিলা শাখার প্রাক্তন কার্যনির্বাহী সভানেত্রী তথা ‘মুসলিম মহিলা মুখ’ হিসাবে পরিচিত নাজ়মা নাজ়ির চিক্কনরালে শুক্রবার যোগ দিলেন কংগ্রেসে। কর্নাটকের উপমুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমারের উপস্থিতিতে দলবদলের কথা ঘোষণা করে তিনি বলেন, ‘‘২২ বছর বয়সে দেবগৌড়াজির নেতৃত্বে রাজনীতি শুরু করেছিলাম। কিন্তু সাম্প্রদায়িক বিজেপির সঙ্গে জোট মেনে নিতে পারলাম না। তাই এই সিদ্ধান্ত।’’
দক্ষিণ কর্নাটকের পুরনো মাইসুরু এলাকায় সংখ্যালঘু ভোটে নাজ়মার এই দলবদল প্রভাব ফেলবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ। পেশায় চিকিৎসক নাজ়মা কর্নাটকে ২০২০ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত অক্টোবরে কুমারস্বামী বিজেপির সঙ্গে জোট গঠনে সক্রিয় হওয়ার পরেই প্রতিবাদ জানিয়ে দল ছেড়েছিলেন জেডিএসের কর্নাটক শাখার সভাপতি তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সিএম ইব্রাহিম-সহ কয়েক জন সংখ্যালঘু নেতা। এ বার লোকসভা ভোটে কর্নাটকের ২৮টি আসনের মধ্যে জেডিএসকে মাত্র তিনটি আসন ছেড়েছে বিজেপি। যা নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে দেবগৌড়ার দলের অন্দরে।