(বাঁ দিকে) পাপ্পু যাদব এবং লালুপ্রসাদ যাদব (ডান দিকে) । ছবি: সংগৃহীত।
লোকসভা ভোটে বিহারে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করল বিজেপি-বিরোধী জোট ‘মহাগঠবন্ধন’-এ। পাঁচ বারের সাংসদ তথা সদ্য কংগ্রেসে যোগদানকারী পাপ্পু যাদব শনিবার জানিয়ে দিলেন, পূর্ণিয়া আসনে তিনি ‘হাত’ প্রতীক নিয়েই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
পাপ্পু শনিবার বলেন, ‘‘আমার কাজ পূর্ণিয়াবাসীর জন্য সমর্পিত। এই আসনে আমি কংগ্রেসের টিকিটের লড়ব এবং কংগ্রেসকে জয়ী করব।’’ কংগ্রেসের তরফে বার বার দাবি জানানো হলেও, পূর্ণিয়া আসনটি ‘বাহুবলী’ প্রাক্তন সাংসদ পাপ্পুকে ছাড়েনি লালুপ্রসাদ, তেজস্বী যাদবের দল আরজেডি।
এই পরিস্থিতিতে পাপ্পুর নির্দল হিসাবে লড়ার ঘোষণা পূর্ণিয়ায় দুই জোট শরিকের বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছে। যদি পাঁচ বারের সাংসদ পাপ্পু জানিয়েছেন, শেষ পর্যন্ত সনিয়া, রাহুল বা প্রিয়ঙ্কা গান্ধীর তরফে কোনও বার্তা এলে দলের শৃঙ্খলাবদ্ধ সৈনিক হিসাবে তিনি তা মেনে নেবেন।
গত ২৪ মার্চ পটনার প্রদেশ কংগ্রেস দফতরে এআইসিসির পর্যবেক্ষক পবন খেড়ার উপস্থিতিতে তাঁর দল জন অধিকার পার্টিকে কংগ্রেসে মিশিয়ে দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন পাপ্পু। তার আগে লালুর সঙ্গেও দেখা করতে গিয়েছিলেন তিনি। কোশী-সীমাঞ্চল এলাকার নেতা পাপ্পুর প্রভাব পূর্ণিয়ার পাশাপাশি সুপৌল আসনেও রয়েছে। তাঁর স্ত্রী রঞ্জিতা রঞ্জন ২০১৪-১৯ এই কেন্দ্রের কংগ্রেস সাংসদ ছিলেন।
কিন্তু এ বার ‘তাৎপর্যপূর্ণ’ ভাবে পূর্ণিয়ার পাশাপাশি সুপৌলেও নিজেদের প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন লালু-তেজস্বী।পাপ্পুর স্ত্রী রঞ্জিতা গত এক দশক ধরেই কংগ্রেসে রয়েছেন। বর্তমানে তিনি ছত্তীসগঢ় থেকে নির্বাচিত রাজ্যসভা সাংসদ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে বিহারে অন্য কোনও যাদব নেতার উত্থান কোনও ভাবেই বরদাস্ত করতে পারে না লালু পরিবার। অতীতে রামকৃপাল যাদব, রঞ্জন যাদবদের মতো নেতা সেই ‘প্রতিহিংসার’ শিকার হয়েছেন। এ বার হলেন পাপ্পু। ২০১৪-এর লোকসভা ভোটে মধেপুরা আসনে আরজেডি প্রার্থী হিসাবে জেডি(ইউ)-এর শরদ যাদবকে হারিয়েছিলেন পাপ্পু। কিন্তু ২০১৫-য় লালুর সঙ্গে মতবিরোধের কারণে আরজেডি থেকে বহিষ্কৃত হন।