প্রজ্বল রেভান্না। — ফাইল চিত্র।
যৌন নির্যাতনের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে কর্নাটক পুলিশ। তাঁর কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করার সুপারিশ করে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া চিঠি পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এই পরিস্থিতিতে বুধবার তাঁর বিরুদ্ধে ‘যৌন কুকীর্তির ভিডিয়ো’ সংক্রান্ত অভিযোগ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানালেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জেডিএস প্রধান এইচডি দেবগৌড়ার নাতি প্রজ্বল রেভান্না।
হাসনের জেডিএস সাংসদ প্রজ্বল তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লিখেছেন, ‘‘সত্য সামনে আসবেই।’’ সিটের তরফে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রজ্বলকে তদন্তকারী অফিসারদের সামনে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শুধু একা প্রজ্বল নন, নোটিস পাঠানো হয়েছে তাঁর বাবা এইচ ডি রেভান্নাওকেও। যৌন নির্যাতনের মামলায় তিনিও এক জন অভিযুক্ত বলে দাবি তদন্তকারী দলের। এই পরিস্থিতিতে প্রজ্বল তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে হাজিরার জন্য সাত দিন সময় চেয়েছেন।
গত সপ্তাহে প্রজ্বলের যৌন কুকীর্তির হাজার তিনেক ভিডিয়ো (আনন্দবাজার অনলাইন যার সত্যতা যাচাই করেনি) ভরা একটি পেন ড্রাইভ প্রকাশ্যে এসেছে। অভিযোগকারী বিজেপি নেতা দেবরাজ গৌড়ার দাবি, গত পাঁচ বছর ধরে হাসনের সাংসদ কয়েক হাজার মহিলাকে ধর্ষণ এবং যৌন নির্যাতন করে সেই ভিডিয়ো নিজেই তুলে রাখতেন। তিনি বলেছেন, ‘‘নির্যাতিতাদের ব্ল্যাকমেল করাই উদ্দেশ্য ছিল প্রজ্বলের।’’ ঘটনার পরেই অবশ্য দেশ ছেড়েছেন দেবগৌড়ার নাতি। দেবরাজের অভিযোগ, প্রজ্বলকে মদত দিয়েছেন তাঁর বাবা রেভান্নাও। ঘটনাচক্রে, কর্নাটকে এখন বিজেপির সহযোগী জেডিএস। ফলে দেবগৌড়া পরিবারের পাশাপাশি কংগ্রেস নিশানা করেছে পদ্মশিবিরকেও।