প্রজ্বল রেভান্না। — ফাইল চিত্র।
‘অশ্লীল’ ভিডিয়োকাণ্ডে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী তথা জনতা দল সেকুলার (জেডিএস) প্রধান এইচডি দেবগৌড়ার পৌত্র তথা বিদায়ী সাংসদ প্রজ্বল রেভান্না যাতে তদন্তকারী অফিসারদের সামনে হাজিরা দিতে পারেন, তাই পদক্ষেপ করার আবেদন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। বিদেশ মন্ত্রক যাতে প্রজ্বলের কূটনৈতিক পাসপোর্ট বাতিল করে, তা নিশ্চিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছেন তিনি।
বুধবারের চিঠিতে সিদ্দারামাইয়া লিখেছেন, গ্রেফতার হতে পারেন, এমন আশঙ্কা করেই দেশ ছেড়েছেন প্রজ্বল। কূটনৈতিক পাসপোর্টের জোরেই বিদেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তিনি। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে যে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে, তার তদন্তের জন্য প্রজ্বলকে ভারতে ফিরিয়ে আনা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশের আইন অনুযায়ী তদন্তের জন্য তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
রেভান্নার বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার মামলা দায়ের হয়েছে। শুধু তিনি একা নন, নাম জুড়েছে দেবগৌড়ার পুত্র তথা প্রজ্বলের পিতা এইচডি রেভান্নারও। বাড়ির রাঁধুনির অভিযোগে ভিত্তিতেই হোলেনারাসিপুর থানায় মামলা রুজু হয়েছে তাঁদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেই নাকি দেশ ছেড়েছেন। একটি রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, রবিবার সকালেই বেঙ্গালুরু ছেড়ে জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্টের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। কর্নাটকের হাসনের বিদায়ী সাংসদ রেভান্না। এ বারের প্রার্থীও হয়েছেন ওই কেন্দ্র থেকে। প্রথম দফার ভোটের আগে হাসন কেন্দ্রে বেশ কয়েকটি ‘অশ্লীল’ ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসে। সেই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায়। এই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে জেডিএস প্রার্থী রেভান্নার বিরুদ্ধেও।
কর্নাটক সরকার ইতিমধ্যেই সিট গঠন করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। এই ঘটনায় প্রজ্বল এবং তাঁর পিতাকে নোটিসও পাঠিয়েছে তদন্তকারী দল। সূত্রের খবর, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের তদন্তকারী অফিসারদের সামনে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, জাতীয় মহিলা কমিশন এই ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কর্নাটক পুলিশের কাছে তিন দিনের মধ্যে রিপোর্টও তলব করেছে তারা। কমিশনের প্রধান রেখা শর্মা কর্নাটক পুলিশের ডিজিপি অলোক মোহনকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন অবিলম্বে এই ঘটনায় কার্যকরী পদক্ষেপ করার জন্য। একই সঙ্গে ‘দেশত্যাগী’ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার আর্জিও জানানো হয়েছে চিঠিতে।