বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থীর নাম লিখছেন বহরমপুর পুরসভার চেয়ারম্যান। নিজস্ব চিত্র।
রবিবার ব্রিগেডের সভার পর বহরমপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠান সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচনী দিনক্ষণ ঘোষণা হলেই তিনি বহরমপুরে ঘাঁটি গেড়ে প্রচারের ময়দানে নামবেন। তবে তাঁর আসার অপেক্ষায় বসে না থেকে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকরা প্রচার শুরু করে দিয়েছেন।
মুর্শিদাবাদ জেলার অন্য দুই কেন্দ্রের প্রার্থীর পাশাপাশি ইউসুফের নামে দেওয়াল লেখা শুরু হয়েছে রবিবার থেকে। সোমবার বহরমপুরের পুরপ্রধান নাড়ুগোপাল মুখোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বহরমপুর পুরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে ইউসুফ পাঠানের হয়ে দেওয়াল লেখা হয়। শহর জুড়ে নেতা-কর্মীরা ইউসুফের হয়ে প্রচারে কোমর কষে নেমে পড়েছেন। নাড়ু বলেন, ‘‘ইউসুফ পাঠানের মতো নামী ক্রিকেটার এই কেন্দ্রে প্রার্থী হওয়ায় আমরা খুশি।’’ বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, ‘‘মুর্শিদাবাদের তিনটি কেন্দ্রেই আমাদের নেতা-কর্মীরা প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। ব্লক সভাপতি, শহর সভাপতিদের এ বিষয়ে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শীঘ্রই প্রার্থীদের নিয়ে বৈঠকের পর প্রচার শুরু হবে।’’ তবে এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী ইউসুফকে প্রার্থী করা নিয়ে বলেন, ‘‘ক্রিকেটার রাজনীতি করতেই পারেন। দিদি বলেন, মুর্শিদাবাদে কংগ্রেস নেই। আমি চ্যালেঞ্জ করেছিলাম, দিদি বা খোকাবাবু বহরমপুরে আমার বিরুদ্ধে লড়াই করুন। আমি হেরে গেলে রাজনীতি ছেড়ে দেব। এখানকার মানুষের দুয়া আর দয়ার উপর নির্ভর করি।’’ ইউসুফ, শত্রুঘ্ন সিংহদের তৃণমূল প্রার্থী করা নিয়ে অধীর বলেন, ‘‘এতদিন তৃণমূল বাংলা, বাঙালি বলে লাফাচ্ছিল। এখন গুজরাত থেকে ইউসুফকে বহরমপুরে দাঁড় করাল। শত্রুঘ্ন ছাড়া আসানসোলে কি হিন্দিভাষী নেতাছিলেন না!’’