নিশীথ প্রামাণিক। —ফাইল চিত্র।
এ বার কেন্দ্রীয় প্ৰতিমন্ত্রী তথা বিজেপির কোচবিহার লোকসভা আসনের প্রার্থী নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলাগুলিকে তাঁর বিরুদ্ধে প্রচারের ‘হাতিয়ার’ করছে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার মনোনয়নপত্র জমা দেন নিশীথ। নির্বাচন কমিশনে তাঁর দেওয়া হলফনামায় ১৪টি মামলার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি। আর সে হলফনামা ধরেই প্রচার করছে তৃণমূল। রাজ্যের শাসক দলের দাবি, নিশীথের হলফনামায় উল্লেখ করা রয়েছে, তাঁর বিরুদ্ধে খুন, খুনের চেষ্টা, চুরি, ডাকাতি থেকে শুরু করে প্রতারণা, বেশ কয়েকটি গোলমালে জড়িয়ে থাকার মতো একাধিক ধারায় মামলা রয়েছে। বিজেপির দাবি, তাদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক কারণে মামলা হয়েছে। তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রীর নামেও মামলা রয়েছে।
কোচবিহারের দিনহাটার ভেটাগুড়ির বাসিন্দা নিশীথ এক সময় যুব তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। ২০১৮ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের পরে, নিশীথকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। এর পরে, তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। বিজেপি তাঁকে কোচবিহার লোকসভা আসনের প্রার্থী করে। নিশীথ যে সময় তৃণমূল করতেন, সে সময় থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। কোচবিহারের কোতোয়ালি থানা, দিনহাটা থানা ছাড়াও, আলিপুরদুয়ার থানাতেও নিশীথের নামে অভিযোগ হয়। কিছু দিন আগেই এক পুরনো মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ থেকে জামিন পেয়েছেন নিশীথ।
তৃণমূলের কোচবিহার লোকসভা আসনের প্রার্থী জগদীশ বর্মা বসুনিয়ার বক্তব্য, ‘‘নিশীথ প্রামাণিকের বিরুদ্ধে খুন-ডাকাতির মতো মামলা রয়েছে। যখন তিনি রাজনীতি করতেন না, সেই সময়ের মামলা রয়েছে। আর আমার বিরুদ্ধে একটি মামলা রয়েছে, সেটা রাজনৈতিক। আমাদের দলের মধ্যেই ভুল বোঝাবুঝি থেকে দ্বন্দ্বের ফলে সেটা হয়।’’
বহু চেষ্টা করেও নিশীথের সঙ্গে এ দিনে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। বিজেপির কোচবিহার জেলার সভাপতি সুকুমার রায় বলেন, ‘‘আমরা বিরোধী দল করি। বিরোধী দল করলে যে পাঁচ-দশটি মিথ্যা মামলা হবে, তা জেনেই দল করি। ওই নিয়ে ভয় নেই।’’
কোচবিহার লোকসভা আসনে বাম তথা ফরওয়ার্ড ব্লক প্রার্থী নীতীশ রায়ের বিরুদ্ধে অবশ্য কোনও মামলা নেই। পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির মানুষ বলে পরিচিত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক নীতীশ বলেন, ‘‘যে, যেমন কাজ করে, সে তেমন ফল পায়। মানুষের সে সব দেখেই ভোট দেওয়া উচিত।’’