আহত তৃণমূল কর্মীকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে হাসপাতালে। — নিজস্ব চিত্র।
ভোটের আগে যথারীতি উত্তপ্ত ভাঙড়। যাদবপুর লোকসভার অন্তর্গত ভাঙড় বিধানসভা এলাকার দু’প্রান্তে সংঘর্ষের অভিযোগ। কোচপুকুরে আইএসএফ কর্মীদের উপর চড়াও হয়ে মারধর করার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অন্য দিকে, জিরানগাছায় তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলার অভিযোগ আইএসএফের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে, ভাঙড় আছে ভাঙড়েই।
যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে এ বার তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন যুবনেত্রী তথা অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। অভিযোগ, সায়নীর প্রচারের জন্য চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের কোচপুকুরে তৃণমূলের মিছিলে যেতে বলা হয়েছিল এলাকার এক আইএসএফ সমর্থককে। সায়নীর মিছিলে যাননি ওই আইএসএফ সমর্থক। মিছিল শেষ হলে সেই ‘অপরাধে’ই তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এই ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কাশীপুর থানার পুলিশ। আইএসএফের অভিযোগ, তৃণমূলের লোকজনই তাদের এক সমর্থককে সায়নীর মিছিলে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু আইএসএফ সমর্থক সেই নির্দেশ অমান্য করেন। তার জেরেই মারধর। যদিও আইএসএফের সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে তৃণমূল। তারা প্রশ্ন তুলছে, তৃণমূল প্রার্থীর মিছিলে কেন আইএসএফের সমর্থককে আসতে বলা হবে? স্থানীয় এক তৃণমূল নেতার কথায়, ‘‘তৃণমূলের কি লোক কম পড়েছে যে আইএসএফের কাছ থেকে মিছিলে হাঁটার জন্য লোক ধার নিতে হচ্ছে!’’ আহত আইএসএফ সমর্থককে জিরানগাছা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা করানো হয়। তার পর তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
অন্য দিকে, ভগবানপুর অঞ্চলের জিরানগাছায় এক তৃণমূল কর্মীকে মারধর করার অভিযোগ উঠল আইএসএফের বিরুদ্ধে। আহত তৃণমূল কর্মীকে দেখতে জিরানগাছা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন ভাঙ্গড়-২ ব্লক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য খায়রুল ইসলাম। তিনি সরাসরি আইএসএফের গুন্ডামির দিকে ইঙ্গিত করেন। দোষীদের শাস্তির দাবিও জানিয়েছেন তিনি। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পোলেরহাট থানার পুলিশ। জিরানগাছা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসার পর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন আহত তৃণমূল কর্মী। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করলেও এখনও কোনও আটক বা গ্রেফতার নেই।