নাটকের মাধ্যমে তৃণমূলের ভোটের প্রচারে। —নিজস্ব চিত্র।
নাটকের মাধ্যমে ভোটের প্রচারে বিজেপির বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাল তৃণমূল। বুধবার দুপুরে মালদহের কালিয়াচকের নওদা যদুপুর এবং বিকালে গাজলে তৃণমূলের মঞ্চে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার-বিরোধী নাটক মঞ্চস্থ হয়। পরে, কালিয়াচকে যোগদান কর্মসূচিও হয় তৃণমূলের। তবে মালদহের কর্মসূচিতে তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেনের হাজির থাকার কথা থাকলেও তিনি ছিলেন না, দাবি নেতৃত্বের।
তৃণমূলের মতো মালদহ উত্তর এবং দক্ষিণে প্রচার চালান বিজেপি এবং কংগ্রেস প্রার্থীরাও। সকাল থেকেই বৈষ্ণবনগর বাজার পাড়ায় ভোট-প্রচার চালান বিজেপি প্রার্থী শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। আজ, বৃহস্পতিবার বৈষ্ণবনগরে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সভা রয়েছে। সে সভা নিয়ে কর্মী, সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করেন তিনি। পরে, বাড়ি-বাড়ি ভোট প্রচারও চালান শ্রীরূপা। হবিবপুরের কেন্দপুরে প্রচার চালান উত্তর মালদহের বিজেপি প্রার্থী খগেন মুর্মুও। কংগ্রেস প্রার্থী ইশা খান চৌধুরী দক্ষিণ মালদহের ফরাক্কা বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার চালান। উত্তর মালদহের কংগ্রেস প্রার্থী মোস্তাক আলম রতুয়ায় প্রচার চালান। চাঁদমণি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বালুপুরে মৃত পরিযায়ী শ্রমিকের বাড়িতে যান তিনি। পরিযায়ী শ্রমিকের সমস্যা নিয়ে মোস্তাক বলেন, “কেন্দ্রের বিজেপি এবং রাজ্যের তৃণমূল সরকার মানুষকে কাজ দিতে ব্যর্থ। তাই, পরিযায়ী শ্রমিক হিসাবে জেলার বাইরে গিয়ে তাঁদের কফিন বন্দি হয়ে ফিরতে হচ্ছে।”
কালিয়াচকের নওদা যদুপুরে কংগ্রেস এবং আইএসএফ দলের একাধিক পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগ দেন, দাবি নেতৃত্বের। তাঁদের দাবি, পঞ্চায়েত সদস্যদের সঙ্গে কর্মী, সমর্থকেরাও দল বদল করেন। তৃণমূলের মালদহের মুখপাত্র আশিস কুন্ডু বলেন, “নাটকের মাধ্যমে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের সাম্প্রদায়িকতার নীতি মানুষের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।” যদিও তৃণমূলের তাতে লাভ হবে না বলে কটাক্ষ করে বিজেপির খগেন মুর্মু বলেন, “তৃণমূল দলটাই নাটক। তাই মানুষকে নতুন করে নাটক দেখানোর প্রয়োজন নেই।”