Lok Sabha Election 2024

আবার বিতর্কে জিতেন্দ্র, পাল্টা নালিশ চক্রান্তের

রবিবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় এনআইএ-র এক অফিসারের বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র।

Advertisement

সুশান্ত বণিক

আসানসোল শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২৪ ০৮:৪১
Share:

জিতেন্দ্র তেওয়ারী। —ফাইল চিত্র।

কম্বল বিতরণ থেকে এনআইএ কাণ্ড— বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না জিতেন্দ্র তিওয়ারির। তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই এমন নানা বিতর্কে জড়িয়ে পড়ছেন জিতেন্দ্র। এ বার তৃণমূল নেতৃত্ব তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, পূর্ব মেদিনীপুরের ভূপতিনগরে বিস্ফোরণ কাণ্ডে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজাতে এনআইএ-র সঙ্গে চক্রান্ত করেছেন জিতেন্দ্র তিওয়ারি। তিনি এনআইএ-র এক কর্তার বাড়িতে গিয়েছিলেন বলেও দাবি করা হয়েছে। এই অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে আইনি পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জিতেন্দ্র।

Advertisement

রবিবার তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ অভিযোগ করেন, গত ২৬ মার্চ সন্ধ্যায় এনআইএ-র এক অফিসারের বাড়িতে গিয়েছিলেন বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র। সে সংক্রান্ত ‘তথ্য-প্রমাণ’ সামনে এনে কুণালের প্রশ্ন, ‘‘রাতে অফিসারের বড়িতে কী করছিলেন বিজেপি নেতা? এর তদন্ত হোক।’’ এর আগে শুক্রবার উত্তরবঙ্গের সভা থেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে এনআইএ-র সঙ্গে যোগাযোগ করার অভিযোগ তুলেছিলেন। এ দিন জিতেন্দ্রর প্রতিক্রিয়া, ‘‘একেবারে মিথ্যা ও অন্যায় কথা বলা হচ্ছে। অভিযোগ সাত দিনের মধ্যে প্রত্যাহার করা না হলে, আমি কুণাল ঘোষের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব।’’

২০২১ সালে বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগ দেন জিতেন্দ্র। ২০২২-এর ১৪ ডিসেম্বর আসানসোলের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠানে দুঃস্থদের মধ্যে কম্বল বিতরণের আয়োজন করেন তিনি। কিন্তু সেখানে ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে দুই বৃদ্ধা ও এক নাবালিকার মৃত্যু হয়। জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু করে পুলিশ। পরে তাঁকে দিল্লি থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রায় ২২ দিন জেল হেফাজতে থাকার পরে জামিনে মুক্ত হন। সেই ঘটনার পরে এখন ফের বিতর্ক তৈরি হল তাঁকে নিয়ে। তৃণমূলের অভিযোগ, ঘুষের বিনিময়ে জিতেন্দ্র তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের ফাঁসানোর চক্রান্ত করছেন। জিতেন্দ্রর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘একটি দুর্ঘটনায় তিন জনের মৃত্যুতে আমাকে জেল খাটানো হয়েছে। আবার নতুন করে কোনও চক্রান্ত শুরু হয়েছে।’’

Advertisement

আসানসোলের বিজেপি নেতা-কর্মীদের একাংশের দাবি, এখনও এখানে প্রার্থী ঘোষণা করতে পারেনি দল। ফলে, প্রচারে তেমন জোর নেই। এই পরিস্থিতিতে দলের নেতাকে নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ায় নিচুতলার কর্মীদের মনোবল ধাক্কা খাওয়ার আশঙ্কা থাকছে। যদিও এই বিতর্কে জিতেন্দ্রর পাশে দাঁড়িয়েছে জেলা বিজেপি। দলের জেলা সভাপতি বাপ্পাদিত্য চট্টোপাধ্যায়ের পাল্টা বক্তব্য, ‘‘সারদা কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়ার পরে কুণাল ঘোষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছিলেন। ওঁর কথার কোনও গুরুত্ব নেই।’’ তাঁর দাবি, ‘‘ঠিক সময়ে আমাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হবে। দলের কর্মীদের মনোবল অটুট রয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement